Advertisement
E-Paper

ফের ক্রেন দিয়ে পণ্য খালাস হলদিয়া বন্দরে

হলদিয়া বন্দরে এবিজি-র ছেড়ে যাওয়া দু’টি বার্থে ফের শুরু হল আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। সোমবার থেকে ২ ও ৮ নম্বর বার্থ দু’টিতে মোবাইল হারবার ক্রেন দিয়ে জাহাজ থেকে বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ শুরু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:০৩
ক্রেনের উদ্বোধনে তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হলদিয়া বন্দরে আরিফ ইকবাল খানের তোলা ছবি।

ক্রেনের উদ্বোধনে তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার হলদিয়া বন্দরে আরিফ ইকবাল খানের তোলা ছবি।

হলদিয়া বন্দরে এবিজি-র ছেড়ে যাওয়া দু’টি বার্থে ফের শুরু হল আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। সোমবার থেকে ২ ও ৮ নম্বর বার্থ দু’টিতে মোবাইল হারবার ক্রেন দিয়ে জাহাজ থেকে বন্দরে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ শুরু হয়েছে।

২০১০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে টানা দু’বছর এই দু’টি বার্থে পণ্য খালাস করত মুম্বইয়ের সংস্থা এবিজি। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে বন্দর ছাড়ে তারা। অভিযোগ উঠেছিল, শাসক দল এবং প্রতিযোগী সংস্থার চাপেই বন্দর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল এবিজি। সংস্থার আধিকারিককে রাতের অন্ধকারে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে হলদিয়া ছাড়তে বাধ্য করার অভিযোগও উঠেছিল। এ দিন ক্রেন দিয়ে পণ্য খালাস ব্যবস্থার উদ্বোধন করে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেন, ‘‘এই দু’টি বার্থ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল এক সময়। সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ আঙুল তুলেছিল তৃণমূলের দিকে। কিন্তু এই দু’টি বার্থের কিছুতেই তৃণমূল যুক্ত ছিল না। বন্দরে কে পণ্য খালাস করবে, সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ কখনও করিনি। এটা বন্দরের একান্তই প্রশাসনিক বিষয়।’’

এবিজি চলে যাওয়ার পরে বার্থ দু’টিতে শ্রমিক দিয়েই জাহাজ থেকে মাল নামানো এবং তা বন্দরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছিল। পাশাপাশি ক্রেন দিয়ে পণ্য খালাস করতে পারবে, এমন সংস্থার খোঁজও চলতে থাকে। বছরখানেক আগে দু’টি আলাদা সংস্থাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়। একটি সংস্থা জাহাজ থেকে পণ্য নামাবে। অন্যটি তা বন্দরের বাইরে নিয়ে যাবে। কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বিবাদের জেরে দ্বিতীয় সংস্থাটিও কাজ শুরু করতে পারেনি। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। জাহাজ থেকে পণ্য নামানোর বরাত পেয়েছে যে সংস্থা, সেই ‘রিপ্লে’-র সাথে হাত মিলিয়ে ওড়িশার স্টিভেডার্স ও বোথরা শিপিং এজেন্সি এ দিন ক্রেন পরিষেবা চালু করল।

ক্রেনের ব্যবহারে বন্দরের পণ্য খালাসের পরিমাণ বাড়বে বলে এ দিন আশা প্রকাশ করেছেন বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান মনীশ জৈন। বর্তমানে ওই দু’টি বার্থে প্রতিদিন ৫ হাজার টন পণ্য খালাস হয়। এই ক্রেনের ব্যবহারে সেই পরিমাণ দৈনিক প্রায় ২০ হাজার টনে দাঁড়াবে।

তবে বার্থ থেকে কোন সংস্থা পণ্য বন্দরের বাইরে নিয়ে যাবে এবং সেখান থেকে বন্দরের কী আয় হবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়। বন্দর সূত্রের খবর, এখন যে আট সংস্থার হাতে পণ্য খালাসের লাইসেন্স আছে, তারাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বার্থ থেকে পণ্য বন্দরের বাইরে পাঠাবে। এ দিন ক্রেনের উদ্বোধনে হাজির ছিলেন রিপ্লের ডিরেক্টর সৌমিক বসু, স্টিভেডার্স-এর এমডি জগজিৎ মিশ্র, বোথরা-র এমডি নবীন বোথরা।

haldiaport port
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy