উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিদর্শকের দেওয়া দুই চিঠি।
প্রায় সাত মাস আগের ঘটনা। উত্তর দিনাজপুরের জেলা শিক্ষা পরিদর্শকের একটি সরকারি চিঠি পেয়ে স্তম্ভিত রাজ্য স্তরের এক শিক্ষাকর্তা।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের জন্য ওই জেলা থেকে শূন্যপদের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা ঠিক নয়। এর ফলে ওয়েস্টবেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে বর্তমানে বিভিন্ন স্কুলের শূন্যপদে মারাত্মক ভুল (অ্যাবসার্ড রেজাল্ট) দেখা যাচ্ছে। এই তালিকা মেনে নিয়োগ করা হলে ভবিষ্যতে বিক্ষোভ হতে পারে। চিঠির শিরোনামে লেখা হয়েছে: বার্নিং ইস্যুজ় অব দ্য ডিস্ট্রিক্ট রিলেটেড ট্যু এডুকেশন-সেকেন্ডারি (মেমো নং-১৯৭/১(১) তারিখ: ৯.২.১৮)। তালিকার ত্রুটি বিস্তারিত তদন্ত করতে ওই জেলায় সদ্য কাজে যোগ দেওয়া ডিআই চিঠিতে ১৫ দিন সময় চান।
১৫ দিনে কাজ শেষ হয়নি। কাজ শেষ করতে ওই দফতরের সময় লেগেছিল তিন মাস। কারণ, দেখা গেল, জেলায় উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে ৫৯৪টি শূন্যপদে। অথচ জেলায় এই স্তরে পদ রয়েছে মাত্র ১৫৩টি। অর্থাৎ, প্রকৃত শূন্যপদের তুলনায় লোক নিয়োগ করা হচ্ছে প্রায় চারগুণ।
কিন্তু একটি শূন্যপদে কী করে চারজন লোক নিয়োগ করা হবে? ওয়েবসাইটের শূন্যপদের তালিকা তো আর পাল্টানো যাবে না। শিক্ষা দফতরের এক সূত্র জানিয়েছে, অনেক মাথা ঘামিয়ে একটা উপায় ভাবা হয়। মাধ্যমিক (নবম-দশম) স্তরের আরও ২০০টি শূন্যপদকে উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত (কনভার্সন) করা যেতে পারে। শিক্ষা দফতরের একাংশের দাবি, ডিআই-কে শর্তসাপেক্ষে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যদিও আইনজীবী এক্রামূল বারি বলেন, ‘‘এটা পুরনো আইনে ছিল। নতুন আইনে ডিআই এটা করতে পারেন না।’’
তবে আইনি বা বেআইনি, ২০০টি পদ ‘কনভার্সন’ করেও তো সমস্যার সমাধান হবে না! বাকি যে আরও ২৪১। কী হবে নবনিযুক্ত শিক্ষকদের? চাকরিতে যোগ দিতে না পারলে তাঁরা আদালতে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কী বলা হবে আদালতে? গোড়ায় এই গলদ নিয়েই নিয়োগ শুরু হল উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন স্কুলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy