Advertisement
E-Paper

অনুত্তীর্ণদের পাশ করানোয় প্রশ্ন নিয়ম-বৈষম্য নিয়েই

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পার্ট-১ পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের ফল ২০০৯ সালের পুরনো নিয়ম মেনে আবার প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা শিবিরের একাংশে। মূল প্রশ্ন নিয়মে বৈষম্য নিয়েই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৪৬

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পার্ট-১ পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের ফল ২০০৯ সালের পুরনো নিয়ম মেনে আবার প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা শিবিরের একাংশে। মূল প্রশ্ন নিয়মে বৈষম্য নিয়েই।

২৫ জানুয়ারি ২০১৭ সালের পার্ট ১ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, কলা বিভাগে ৫৭.৫০% পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন। বিজ্ঞানে পাশের হার কমে যায় ১০%। ২০১৬ সালের নতুন নিয়মে এ বারেই প্রথম পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। পড়ুয়াদের দাবি, পরিবর্তিত নিয়মের কথা তাঁরা জানতেনই না। পাশ করিয়ে দেওয়ার দাবিতে ধুন্ধুমার আন্দোলন শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে লাথি মারা থেকে দফায় দফায় অবরোধ-সহ আন্দোলন চলে কয়েক দিন ধরে। শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালের পুরনো নিয়ম অনুযায়ী অনুত্তীর্ণদের ফল ফের প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ।

প্রশ্ন উঠছে: • নতুন নিয়মে তো অনেকেই পাশ করেছেন। তাঁদের বাদ দিয়ে অনুত্তীর্ণদের ক্ষেত্রে পুরনো নিয়ম মানলে একই বছরের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য করা হবে না কি? • অকৃতকার্য পড়ুয়ারা কোর্স শেষ করার জন্য কত সময় পাবেন? ২০০৯ সালের নিয়মে পাঠ্যক্রম শেষ করতে ১০ বছর পর্যন্ত সময় মিলত। নতুন নিয়মে সেটা কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। পুরনো ও নতুন, কারা কোন নিয়মের সুযোগ পাবেন? এখানেও নিয়ম-বৈষম্যের অবকাশ থাকছে না কি? • নতুন নিয়মের ৭ডি ধারা বলছে, পার্ট-১ পরীক্ষায় অনার্সের যে-সব ছাত্রছাত্রী যোগ্যতামান ছুঁয়েছেন, তাঁরা পরীক্ষার ফল আরও ভাল করার জন্য চাইলে আবার পার্ট-১ পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই সুযোগ দেওয়া হবে কি? বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই বিষয়ে কলেজগুলিকে কিছু জানানো হয়নি। শিক্ষা সূত্রের খবর, উত্তর পেতে এবং বিষয়গুলি বুঝতে পরীক্ষার্থীরা এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোটাছুটি করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক মঙ্গলবার জানান, পুরনো নিয়মে শুধু অনুত্তীর্ণদের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আর কিছুই ভাবা হয়নি। চিত্তরঞ্জন কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।’’ বেহালার বিবেকানন্দ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষা সোমা ভট্টাচার্য জানান, পার্ট-১ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পার্ট টু-তে বসার টেস্ট হয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিদ্ধান্তে আবার যাঁরা পাশ করেছেন, তাঁদের জন্য ফের টেস্টের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক করকে ফোন এবং মেসেজ করেও এই সব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য জানা যায়নি।

University of Calcutta Unsuccessful Pass Fail কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy