প্রকল্প পরিদর্শন। —নিজস্ব চিত্র।
পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈব সার বানিয়ে তা বিক্রি করে আয় বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে উত্তরপাড়া পুরসভা। এ জন্য সম্প্রতি মেক্সিকোতে গিয়ে পুরস্কারও জিতে এসেছেন উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব। পচনশীল বর্জ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাই উত্তরপাড়া পুরসভাকেই মডেল করে এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে বৃহস্পতিবার উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের ৭টি জেলার ২৪টি পুরসভার ( কোচবিহার, মেখলিগঞ্জ, ব্যারাকপুর ইত্যাদি) এগজিকিউটিভ অফিসারেরা (ইও) উত্তরপাড়ায় এসে প্রকল্পটি ঘুরে দেখেন। যাতে নিজেদের এলাকায় তাঁরা পচনশীল বর্জ্য ব্যবহারে কার্যকর পদক্ষেপ করতে পারেন।
রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘উত্তরপাড়াকে মডেল করে আমরা এখন রাজ্যের প্রতিটি পুরসভা এলাকায় ওই ধরনের প্রকল্প গড়ে তুলতে চাইছি। সে জন্যই উত্তরপাড়ার প্রকল্পটি ঘুরে দেখার কথা বলা হয় ২৪টি পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসারদের।’’ উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপবাবু বলেন, ‘‘আমাদের উদ্যোগ মেক্সিকোতে বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বর্জ্য দিয়ে এখন রীতিমতো সার তৈরি হচ্ছে মাখলায়। তাতে পুরসভার আয় হচ্ছে। পরিবেশকেও দূষণের থেকে বাঁচানো যাচ্ছে।’’
বাম আমলেই রাজ্যের তৎকালীন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য প্রকল্পটি শুরু করেন মাখলায়। কিন্তু তখন প্রকল্পটি রূপায়ণের ক্ষেত্রে সে ভাবে গতি পায়নি। রাজ্যে পালাবদলের পরে প্রকল্পের কাজে গতি আসে। মাখলার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ওই বর্জ্যের প্রকল্পের জন্য জমি নির্দিষ্ট হয়। সেই সময় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার তৎকালীন ভাইস-চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ঘোষ প্রকল্পটি রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহী হন। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে উত্তরপাড়া পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের প্রকল্পটি চালু হয়। পচনশীল ও অপচনশীল দ্রব্যের ক্ষেত্রে আলাদা পাত্র সরবরাহ করা হয় পুরসভার তরফে। সেই বর্জ্য পুরসভার নিজস্ব প্রকল্পে নিয়ে গিয়ে যন্ত্রের সাহায্য আলাদা করা হয়। এই কাজে কাগজ-কুড়ানিদের নিয়ে বিশেষ দল করে তাঁদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে। এই গোটা ব্যবস্থাই অন্য পুরসভাগুলিতেও চালু করতে চাইছে রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy