Advertisement
E-Paper

আজ রাজ্যের তিন স্থানে টিকার মহড়া

কী খামতি রয়েছে কিংবা কী ধরনের সমস্যা আসতে পারে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতেই এই মহড়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৫
—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

দেশ জুড়ে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মহড়া বা ‘ড্রাই রান’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আজ, শনিবার অন্যান্য রাজ্যের মতো বঙ্গেও হবে সেই মহড়া। আর তাতে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণনা জেলার দত্তাবাদ, মধ্যমগ্রাম, আমডাঙার নাম।

করোনার টিকাকরণ শুরুর আগে প্রতিটি রাজ্যে পরিকাঠামো কতটা তৈরি রয়েছে, কী খামতি রয়েছে কিংবা কী ধরনের সমস্যা আসতে পারে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতেই এই মহড়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যেরই রাজধানীর অন্তত তিনটি টিকাকরণ কেন্দ্রে ওই মহড়া হবে। সেই মতো দত্তাবাদ আর্বান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার (ইউপিএইচসি), মধ্যমগ্রাম ইউপিএইচসি এবং আমডাঙা গ্রামীণ হেলথ সেন্টারকে বাছা হয়েছে। সকাল থেকেই এখানে শুরু হবে করোনা টিকাকরণের ‘ড্রাই রান’। ওই তিন জায়গার মহড়াতে থাকতে পারেন স্বাস্থ্য কর্তারাও।

কিন্তু টিকার ‘ড্রাই রান’ বিষয়টি ঠিক কী, সেটা অবশ্য এখনও বোধগম্য হয়নি অনেক সাধারণ মানুষের কাছেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অনির্বান দলুই বলেন, ‘‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। ড্রাই রানে দেখা হয় গোটা প্রকল্পে কোনও ফাঁক থেকে গেল কি না। যদি তা হয়, সেগুলি দ্রুত সংশোধন করতে হয়। কারণ, এর পরেই হচ্ছে টিকাকরণের চূড়ান্ত পর্যায়।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মহড়ায় রাজ্যের ওই তিনটি কেন্দ্রেই আপাতত ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মীকে প্ল্যাসিবো (স্যালাইন ওয়াটার) দেওয়া হবে। দেখা হবে, বাস্তবে টিকাকরণের জন্য তৈরি ‘কো-উইন’ সফটওয়্যারটি ঠিক মতো কাজ করছে কি না।

বাস্তবে টিকাকরণ যখন শুরু হবে, তখন ভিড় কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, লাইন থেকে কী ভাবে নাগরিকদের টিকাকরণের ঘরে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে যিনি টিকা দেবেন, তিনি কতটা প্রস্তুত থাকবেন। যি‌নি খাতায় সব কিছু নথিভুক্ত করবেন, তিনি সব কিছু ঠিকঠাক করছেন কি না, তার পাশাপাশি টিকা নেওয়ার পরে পর্যবেক্ষণ ঘরে কী ভাবে নিয়ে যাওয়া হবে, কত ক্ষণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সেখানে থাকবেন—সব কিছুই

দেখা হবে মহড়ায়। এ ছাড়াও, মূল কেন্দ্র থেকে টিকাকরণ কেন্দ্রে পৌঁছনোর জন্য সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থা রয়েছে কি না, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় টিকাগুলি সংরক্ষণ করা হচ্ছে কি না সবই দেখা হবে। যেমন গুজরাতে ৪৭৫ জন মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্যে ভ্যাকসিন গবেষণার সংযোগকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক প্রধান স্নেহেন্দু কোনার বলেন, ‘‘মহড়ার পরে এক বার টিকাকরণ চালু হয়ে গেলে পরবর্তীটির ক্ষেত্রে আর কোনও সমস্যা থাকে না।’’

Coronavirus Covid-19 Vaccination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy