কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে অনলাইনে। কিন্তু কিছু আসনের ‘কোটা’ তাদের দিতে হবে— দাবি করেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) পরিচালিত ছাত্র সংসদ। অধ্যক্ষ তা না মানায় বীরভূমের দুবরাজপুরে হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে ভাঙচুর ও শিক্ষাকর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল টিএমসিপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, শনিবার দুপুরে কিছু দরজা-জানলার কাচ, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। অধ্যক্ষ গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্বচ্ছতা আনতে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। সেখানে ছাত্র সংসদের এমন দাবি কী করে মানব!’’ কলেজের টিএমসিপি নেতারা অবশ্য ভাঙচুর চালানোর কথা অস্বীকার করেন। টিএমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত বলেন, ‘‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। সংগঠনের কেউ এমন করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য নিয়ম মেনে ৫ জুন কলেজের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তার পরে অনলাইনে আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে। ১৬ জুনের পরে মেধাতালিকা প্রকাশ হবে। এরই মধ্যে এ দিন ছাত্র সংসদের সদস্যেরা অধ্যক্ষের কাছে দাবি করেন, কিছু আসনে ভর্তির আংশিক ক্ষমতা বা ‘কোটা’ তাঁদের হাতে দিতে হবে। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ বাপি হোসেনের বক্তব্য, ‘‘অনলাইনের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু এই পদ্ধতিতে অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পাওয়া গ্রামের কিছু ছেলেমেয়ে এখানে অনার্স পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না। আমাদের প্রস্তাব, কিছু আসন আমাদের দেওয়া হোক যাতে ওই ছেলেমেয়েদের দিকটা দেখা যায়।’’
কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই দাবি মানা সম্ভব নয় জানানোর পরেই কলেজ চত্বরে তাণ্ডব শুরু করে এক দল পড়ুয়া। যোগ দেয় কিছু বহিরাগত। ইট ছুড়ে জিনিসপত্র ভাঙা হয়। কয়েক জন শিক্ষাকর্মী জখমও হন বলে অভিযোগ। অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘পুলিশ তাড়াতাড়ি আসায় ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা আটাকানো সম্ভব হয়েছে।’’
টিএমসিপি নেতাদের যদিও দাবি, তাঁরা কোনও ভাঙচুর চালাননি। উল্টে, শিক্ষাকর্মীরাই তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করেন। আহত এক ছাত্র। ছাত্র সংসদের সদস্যেরা জানান দুবরাজপুরের পুরপ্রধানের সঙ্গে দেখা করে, তাঁরা আজ, রবিবার গোটা সমস্যা জানাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy