সাংবাদিক, সম্পাদক হিসেবে তাঁর ছক-ভাঙা ভাবনা একদা প্রাণিত করেছে পরের প্রজন্মের বহু তরুণকে। হাতে ধরে শিখিয়েছেন অনেককেই। রাজনৈতিক বিশ্বাস, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সাংবাদিকতার উৎকর্ষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছিলেন স্বপ্না দেব। সোমবার বিকেলে কলকাতার বাড়িতে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। কিছু দিন হল বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। পরিবার-পরিজনের তরফে কল্যাণীর এমস হাসপাতালে তাঁর মরণোত্তর শরীর পৌঁছে দেওয়া হয়।
জন্ম বরিশালে। বাবা সুধীররঞ্জন চক্রবর্তীর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও কমিউনিজ়মের আদর্শে লালিত হন শৈশবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার ছাত্রী, ছাত্র রাজনীতিতে উজ্জ্বল মুখ স্বপ্না অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন। সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের অভিভাবকত্বে। স্বামী প্রিয়ব্রত দেব ও স্বপ্নার ‘প্রতিক্ষণ’ পত্রিকায় তিনিই ছিলেন সম্পাদক। প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক থেকে তরুণ সাংবাদিকের পরম সুহৃদ হয়ে ওঠেন সহজেই। তাঁর গণআন্দোলনে টান এবং নির্ভীক প্রতিবাদী মনটি সজীব ছিল শেষ পর্যন্ত। গত বছর আর জি কর আন্দোলনের সময়ে যেতে না পারলেও নিজের হাতে চিঠি লেখেন অনশনরত ডাক্তারদের। সেই আলোকশিখাটির উত্তাপের রেশ রয়ে গিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)