দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর শহর সভাপতির পদ ফিরে পেলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শিবনাথ ঘোষ। বৃহস্পতিবার রাতে পুনর্বহালের এই চিঠি পেয়েছেন তিনি। ফলে এক পদ ও তার দুই দাবিদারকে নিয়ে তৃণমূলে যে অশান্তির বাতাবরণ চলছিল তা আপাতত স্বাভাবিক হয়েছে।
সাংগঠনিক রদবদলের জেরে রাজপুর শহর কমিটির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শিবনাথকে। তাঁর জায়গায় কুহেলি ঘোষকে দায়িত্ব দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় দলের তরফে। তার পর থেকেই বিদায়ী ও নবনিযুক্ত দুই সভাপতির সমর্থকদের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। বিষয়টি পৌঁছয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও। দীর্ঘদিনের কর্মী শিবনাথকে তাঁর পদে ফিরিয়ে আনার আশ্বাসও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিস্থিতি জটিল হয় শিবনাথের জায়গায় কুহেলি সভাপতি হিসেবে কাজ শুরু করে দেওয়ায়। সম্প্রতি প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মরণসভার আয়োজন নিয়ে দু’পক্ষেপ বিবাদ রাস্তায় চলে আসে। উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হয়। শিবনাথের পক্ষে দাঁড়িয়ে রাজপুরের দলীয় অফিস রাতারাতি বদলে নিজের প্রশাসনিক কাজের অফিস করে নেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক অরুন্ধতী ( লাভলি) মৈত্র। এই সব কিছুই নজরে আসে মমতার। তার পরেই দলের রাজ্য নেতৃত্বকে তিনি স্পষ্ট জানান, কোনও ভাবেই পুরনোদের অমার্যাদা করা যাবে না। শিবনাথকে যত দ্রুত সম্ভব তাঁর পদে ফেরাতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া বার্তা পেয়েই নড়ে বসেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী নতুন করে শিবনাথের নামে নিয়োগপত্র পাঠান। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতির নির্দেশে শিবনাথ ঘোষকে ফের সভাপতি করা হয়েছে। আগে কুহেলিকে সভাপতি করা হয়েছিল। তখন তাঁকে সমর্থন করেছিলাম। এখন শিবনাথবাবুকে দল সভাপতি করা হয়েছে। আমি তার পক্ষে।’’ অরুন্ধতী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীই আমাদের দল। এটা সবার বোঝা উচিত।’’