Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Kazi Nazrul University

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ইস্তফা, রাজভবনের বিরুদ্ধে নিজের করা মামলার মধ্যেই ঘোষণা

উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী জানান, আগামী ২৮ মে অর্থাৎ, আর ১২ দিন পরে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে শুক্রবারের মধ্যে তিনি ইস্তফাপত্র রাজভবনে পাঠিয়ে দেবেন।

photo of Kazi Nazrul University

অস্থায়ী উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করেছিল রাজভবন। ছবি সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ১৮:৫৪
Share: Save:

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানালেন সাধন চক্রবর্তী। অস্থায়ী উপাচার্য সাধনকে বরখাস্ত করেছিল রাজভবন। নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে উপাচার্য পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, এই অভিযোগ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন সাধন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে সাধনকে বরখাস্তের নির্দেশ প্রত্যাহার করার কথা জানাল রাজভবন। এর পরই উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান সাধন।

বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারে রাজ্য। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করলে উপাচার্যকে সরিয়ে দিতে পারেন।’’ বিচারপতি চন্দের মন্তব্য, ‘‘আমার মতে এমন পরিস্থিতিতে আপনার পদত্যাগ করা উচিত। আপনার কাজে রাজ্য খুশি না হলে কেন পদে থাকবেন? সম্মান এবং পদমর্যাদার কথা ভেবে আপনি ইস্তফা দিয়ে দিন। আপনার মেয়াদও আর মাত্র ক'দিন রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে আর জটিলতা না বাড়ানোই ভাল।’’ তার পরেই নিজের ইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা জানান উপাচার্য। তাঁর কথায়, ‘‘রাজভবন আমার বরখাস্তের নোটিস সসম্মানে প্রত্যাহার করলে ইস্তফা দিতে কোনও অসুবিধা নেই। শুক্রবারের মধ্যে ইস্তফাপত্র রাজভবনে চলে যাবে।’’ আগামী ২৮ মে অর্থাৎ, আর ১২ দিন পরে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে উপাচার্যের।

এই মামলায় উপাচার্যের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘যে পদ্ধতিতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করা হয়েছে তাতে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে। রাজভবনের বরখাস্তের চিঠি থেকে বেশ কিছু শব্দবন্ধ সরানো হোক।’’ রাজভবনের আইনজীবীর যুক্তি, ‘‘বেশ কিছু বিষয় নজরে আসায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এক বার নিয়োগ হয়ে গেলে উপাচার্য আচার্যের অধীনে চলে যান। এ ক্ষেত্রে উপাচার্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা বাধ্যতামূলক নয়।’’ রাজ্যের যুক্তি, ‘‘শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে উপাচার্যকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাই এ ক্ষেত্রে উপাচার্যকে সরানোর আগে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। তবে এখন উপাচার্য স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চাইলে কিছু বলার নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta High Court Raj Bhawan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE