রক্ষা: দোকানের বাঙ্কে উঠে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা হিঙ্গলগঞ্জের ভিলেজ পুলিশ তরুণ মণ্ডলের। ছবি: নির্মল বসু
দুই যুবককে মারধর করে, চলন্ত গাড়ির সামনে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে। জনতা তাকে দফায় দফায় পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গ্রেফতার করা হয়েছে তরুণ মণ্ডল নামে হিঙ্গলগঞ্জের ওই ভিলেজ পুলিশকে।
ক’দিন আগেই মধ্যমগ্রামে সিভিক ভলান্টিয়ারের মারে হেলমেটহীন এক স্কুটার আরোহীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় এলাকা। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডেকে একপ্রস্থ সমঝে দেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের কর্তারা। বলা হয়, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিনয়ী হয়ে কাজ করতে হবে। অযথা মাথা গরম করা চলবে না। নিজেদের পুলিশ ভাবলেও হবে না।
শনিবার হিঙ্গলগঞ্জের কালীবাড়ি এলাকায় ভিলেজ পুলিশের দাপট দেখে এ বার প্রশ্ন উঠছে, এই শ্রেণির কর্মীদের আচার-আচরণ নিয়েও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এলাকায় রীতিমতো দাপট চলে তরুণের। মদ্যপ অবস্থায় ডিউটিতে প্রায়শই দেখা যায় তাকে। অযথা হয়রান করে পথচারীদের। মারধর, তোলা আদায়ের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা পুলিশ
কর্তাদের কানেও উঠেছে আগে। মাস ছ’য়েকের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল তরুণকে। কিন্তু কাজে যোগ দিয়ে ফের একই রকম সর্দারি শুরু করেছিল সে। নিজেকে ‘পুলিশ’ পরিচয় দিয়ে চলত তার যাবতীয় দাদাগিরি, এমনটাই অভিযোগ।
কী হয়েছিল শনিবার?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১টা নাগাদ কালীবাড়ি এলাকায় এসেছিলেন কুয়েরমাঠ এলাকার সুরজিৎ দাস ও বিজয় দাস। কোনও কারণে তাদের সঙ্গে বচসা বাধে তরুণের। অভিযোগ, দুই যুবককে রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু করে ওই ভিলেজ পুলিশ।
সে সময়ে লেবুখালিগামী একটি বাস আসছিল। দুই যুবককে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাসের সামনে ঠেলে দেয় তরুণ। শেষ মুহূর্তে ব্রেক কষে দুর্ঘটনা এড়ান চালক।
আশেপাশের লোকজন বেধড়ক পেটায় তরুণকে। পালিয়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়ে শাটার নামিয়ে দেয় সে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দেখা যায়, বাঙ্কে উঠে বসেছে তরুণ। নামানো হলে জনতার হাতে পড়ে আর একপ্রস্থ মার খায় সে। তরুণের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান পুলিশের এক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy