বহিষ্কৃত বিদ্রোহী
ছোট ঘটনা সামলাতে দল থেকে বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ করতে হল বিজেপি-কে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং হাওড়া উত্তরের দলীয় প্রার্থী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনেই রবিবার হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। তার জেরে উমেশ রাই, বিনয় অগ্রবাল এবং বিকাশ জায়সবাল নাম তিন কর্মীকে ছ’বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করল বিজেপি। রূপাই সোমবার দলের ওই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেছেন। বস্তুত, উমেশরা রূপাকে ওই আসনে প্রার্থী হিসাবে চাননি। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা প্রার্থী বদলের দাবিতে সরব ছিলেন। রবিবার সেই অসন্তোষ মারামারিতে গড়ায়। যদিও তার পরে ওই দিন রূপা বলেছিলেন, ‘‘ছোটখাটো ঘটনা। তবে না ঘটলেই ভাল হতো।’’
মিছিলেও চুরি
মিছিল ছিল চুরির প্রতিবাদে। চোরই তাড়া করে ফেলল সেই মিছিল! বিবেকানন্দ উড়ালপুল দুর্ঘটনায় তৃণমূলের যোগ নিয়ে সরব বিজেপি-সহ বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, তৃণমূলের একাংশের অনৈতিক আর্থিক লোভের জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ‘চোর’দের ক্ষমতা থেকে সরানোর দাবিতে সোমবার দলের রাজ্য দফতর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেছে বিজেপি। আর সেই মিছিলেই আগাগোড়া হেঁটে চার জনের পকেট থেকে মোবাইল তুলে নিয়েছে জনৈক হাতসাফাই শিল্পী! মোবাইল চোরের প্রথম সফল নিশানা হয়েছেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাতি চন্দ্র বসু।
‘ভাই’ বনবাসে
দিদি আসছেন। তার আগেই তাঁর ‘বিদ্রোহী’ আত্মীয়কে ছ’বছরের জন্য বনবাসে পাঠাল মুর্শিদাবাদের যুব তৃণমূল। সাগরদিঘিতে ‘নির্দল’ হয়ে দাঁড়ানো বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা সামসুল হুদার হয়ে প্রচার করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই তুতো ভাই, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সৌমিক হোসেন বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই বহিষ্কার।” সামসুল এবং সমশেরগঞ্জের মন্টু বিশ্বাসকে প্রার্থিপদ তুলে নিতেও বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy