বাঁদিক থেকে, সিভি আনন্দ বোস এবং ব্রাত্য বোস। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বৈঠক নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার বিকেলে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে একটি কর্মসূচিতে ব্রাত্য বলেন, ‘‘এই ঘটনা উচ্চশিক্ষায় হস্তক্ষেপ। রাজভবন থেকে আমাদের রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় নজিরবিহীন হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। এই আবহে রাজ্যপাল বোস সোমবার দুপুরে সল্টলেকের ‘মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ ক্যাম্পাসে তাঁর নিয়োগ করা ১৭ জন অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সম্পর্কে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান।
আচার্য বোসের উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে ইতিমধ্যেই মামলা করা হয়েছে জানিয়ে ব্রাত্য বলেন, ‘‘মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কনভেনশন হয়েছে। আমরা তো কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পারি না। তা চাইও না। বরং সমস্ত রাজনৈতিক পক্ষকে বলব এই হস্তক্ষেপের চেষ্টার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের পাশে থাকুন।’’ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরকে বাদ দিয়ে রাজ্যপাল পদক্ষেপ করতে পারেন কি না, তা জানার জন্য রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও জানান ব্রাত্য।
সোমবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে ইতি টানার বার্তা দিয়ে বোস উপাচার্যদের বৈঠকে বলেছিলেন, ‘‘যা হয়ে গিয়েছে, তার জের টেনে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সরকার এবং ‘স্টেক হোল্ডার’ (উপাচার্য-সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) এক সঙ্গে কাজ করবে।’’ কিন্তু তারই সঙ্গে রাজ্যপালের বক্তৃতায় ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ এসেছে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘এটা বেদনাদায়ক যে রাজ্যের একজন মন্ত্রী জেলে গিয়েছিলেন। দুর্নীতি বন্ধ করতেই হবে।’’ অধ্যাপক নিয়োগের বিশেষজ্ঞ কমিটিতে তিনি ভিন্রাজ্যের প্রতিনিধিদের রাখার কথাও বলেছেন বলেন সূত্রের খবর। উচ্চশিক্ষা দফতরের একাংশের মতে রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে একতরফা ভাবে এমন পদক্ষেপ করতে পারেন না রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy