ফাইল চিত্র
চলছে পঞ্চম দফার ভোট। তার মধ্যেই রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার দু’টি সভা তাঁর। প্রথমটি করেছেন আসানসোলে, এখন গঙ্গারামপুরে। প্রথম সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মোদী। গঙ্গারামপুরের সভা থেকে মোদী যা বললেন:
২.৪৬ বিজেপি-র সরকার অনুপ্রবেশ রুখে দেবে। দলিতদের অপমানের সমাধান করবে বিজেপি-র সরকার। দিদি কোনও দিন আপনার উন্নতির জন্য চিন্তা করেননি। বিজেপি সরকার বাংলাকে জাতীয় বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত করবে। ২ মে-এর পর বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। আসল পরিবর্তন হবে। আমার জীবন আজ ধন্য হয়ে গেল।
২.৩৬ বাংলার মানুষ সারা পৃথিবীতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এই গালিগালাজ মোদীকে নয়, বাংলার ঐতিহ্যকে আঘাত করা। দিদি চাইছেন, বাংলার পরিস্থিতি দেখেও আমি চুপ করে থাকি। আমি বললেই অনেক কথা শুনতে হয়। দিদির লোকেরা যখন বাংলার গরীবদের লুঠ করে, তখন আমি কি চুপ করে থাকতে পারি? দিদির তোষণের রাজনীতি যখন বাংলার সর্বনাশ করে, যখন দিদির দলের নেতারা দলিতদের অপমান করে, তখন কি আমি চুপ করে থাকতে পারি?
২.৩৬ এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন প্রশ্ন তুলি, তার জবাব দিদি দেন না, আমাকে নিন্দা করেন। বলেন, আমাকে কান ধরে ওঠবোস করাবেন। কিন্তু উনি যদি তোলবাজদের কান মুলে দিতেন, ভাইপোকে ওঠবোস করাতেন, তা হলে আজ এই দিনটা দেখতে হত না। প্রতি সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা না করলে দিদির চলে না। ১৯ মার্চ দিদি বলেছিলেন, উনি মোদীর মুখ দেখতে চান না। দেশের প্রধানমন্ত্রীর তুলনা লুটেরা, দাঙ্গাবাজদের সঙ্গে টেনেছেন। বলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। ২৫ মার্চ দিদি বলেছিলেন, মোদী খুনির রাজা, মোদীর স্কু ঢিলে হয়ে গিয়েছে। ১২ এপ্রিল দিদি বলেছিলেন, আমি যেখানে যাই, সেখানে দাঙ্গা হয়। দিদির গালিগালাজে আমার কোনও অসুবিধা নেই। দিদি, আপনি আমাকে যত গালি দেওয়ার দিন। কিন্তু বাংলার মহান ঐতিহ্যকে আঘাত করবেন না। ভোটের কথা ভেবে রামধনুকে রংধনু করছেন দিদি।
২.২৫ প্রতিটি দফায় বাংলার মানুষ যেমন করে ভোট দিয়েছেন, তা ঐতিহাসিক। প্রতিটি নির্বাচন ভয়ে কেটেছে, এ বার প্রথমবারের জন্য ভোট নিয়ে খুশি পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ। ২ মে দিদির যাওয়া চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বাংলায় তৃণমূলের সরকারের আর কয়েকটি দিন আছে। তৃণমূলের তোলাবাজরা কাউকে ছাড়ে না। কেন্দ্রীয় সব প্রকল্পের বিরোধিতা করছে দিদি। ছাপ্পা ভোট বন্ধ হওয়ায় দিদি রেগে গিয়েছেন। ভাইপোর ইচ্ছার জন্য পশ্চিমবঙ্গের যুবক যুবতীদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন দিদি। ভাইপোর উন্নতিতেই মন দিয়েছেন দিদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy