বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, উপাচার্য নিয়োগের বিতর্কিত খসড়ার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছে রাজ্য। এ বার রাজ্য এই নিয়ে সম্মেলন করতে উদ্যোগী হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রের এমনই খবর।
চলতি সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে এই খসড়া নিয়ে এক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটক, তামিলনাড়ু, কেরল, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, তেলঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড— এই সাত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীরা। পশ্চিমবঙ্গ যোগ দেয়নি। এর আগে এই খসড়া বিধির বিরোধিতার আর্জি জানিয়ে বিরোধী-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। চিঠি এসেছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। এ বার বেঙ্গালুরুর সম্মেলনে বঙ্গের অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেন, “ওই সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর যোগদান না করার বিষয়টি আমাদের বিস্মিত করেছে।” সূত্রের খবর, এই খসড়া নিয়ে আলোচনার জন্য এ রাজ্যে আয়োজন করা হবে পৃথক সম্মেলনের।
ইউজিসির এই খসড়ায় শিক্ষক এবং উপাচার্য নিয়োগের যোগ্যতার ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তনের উল্লেখ করা হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটির গঠন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকার অথবা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি থাকার কোনও সংস্থান নেই। উপাচার্য পদে প্রার্থীদের যোগ্যতার বিষয়েও বদলের প্রস্তাব রয়েছে। প্রশাসন ও শিল্প ক্ষেত্র থেকেও উপাচার্য পদে প্রার্থী হওয়া যাবে। শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতা বদলের উল্লেখ খসড়ায় আছে।
একাধিক বার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই খসড়া নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। খসড়া খতিয়ে দেখতে রাজ্য কমিটি গড়েছে। কমিটির দেওয়া রিপোর্টেও ছত্রে ছত্রে বিরোধিতার ছাপ। ইউজিসিকে সেই রিপোর্ট পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। স্ট্যালিনের রাজ্যকে চিঠি দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হবে কি না— এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী কিছু দিন আগেই জানিয়েছেন, স্ট্যালিনের চিঠি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর খানিকটা আলোচনা হয়েছে। পুরো আলোচনা হলে বিষয়টি তিনি জানাতে পারবেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)