E-Paper

সিইও-র দফতরকে আর্থিক স্বাধীনতা, সিদ্ধান্ত নবান্নের

সিইও কার্যালয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে। কোনও সিদ্ধান্ত বা আর্থিক বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর এবং অর্থ দফতরের উপর নির্ভর করে থাকতে হত তাদের।

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:০২
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরকে আর্থিক ক্ষমতা দিল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি সিইও কার্যালয়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত অর্থ তারা নিজেরাই খরচ করতে পারবে। তার জন্য অর্থ দফতরের অনুমোদন লাগবে না। এসআইআর শুরুর পর থেকে কমিশন এবং সিইও কার্যালয় শাসক দল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় চলে এসেছে। কমিশন এবং সিইও অফিসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে নবান্নের এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।

সিইও কার্যালয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে। কোনও সিদ্ধান্ত বা আর্থিক বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর এবং অর্থ দফতরের উপর নির্ভর করে থাকতে হত তাদের। কয়েক মাস আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারকে সুপারিশ করে, সিইও দফতরকে স্বরাষ্ট্র দফতরের আওতা থেকে বার করে পৃথক দফতরের মর্যাদা এবং আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হোক। তখনই সেই সুপারিশ মান্যতা পায়নি। তবে এখন অন্যান্য দফতর নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত যে ভাবে খরচের স্বাধীনতা ভোগ করে, তা পেতে চলেছে সিইও দফতরও।

তবে নির্দিষ্ট সীমার বেশি অর্থ খরচ করতে গেলে অর্থ দফতরের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে কি না, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, বিধি মতোই সেখানে এই খরচখরচা দেখভালের প্রশ্নে ‘কন্ট্রোলার অব ফিনান্স’ পদের কোনও আধিকারিক দায়িত্বে থাকবেন।

আধিকারিক মহলের ধারণা, এর নেপথ্যে দু’টি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, এ ব্যাপারে কমিশনের বিপুল চাপ ছিল রাজ্যের উপর। এসআইআর এবং আগামী ভোটের সময়ে খরচের প্রশ্নে সর্বক্ষণ স্বরাষ্ট্র বা অর্থ দফতরের উপর সিইও অফিস নির্ভরশীল থাকলে কাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে। দ্বিতীয়ত, এতে কেন্দ্রের থেকে ভোটের খরচ বাবদ টাকা পাওয়াও সহজ হবে। কারণ, লোকসভা ভোটের ক্ষেত্রে বিশেষ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাবদ খরচের (৫০০-৭০০ কোটি টাকা) পুরোটাই রাজ্যকে ফিরিয়ে দেয় কেন্দ্র। বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে সেই খরচের অর্ধেক দেয় তারা। কিন্তু বিগত কয়েকটি ভোটে হওয়া এমন খরচ কেন্দ্রের থেকে ফেরত পাওয়া যায়নি। তবে সিইও অফিস থেকে হওয়া খরচ কেন্দ্রের থেকে পাওয়া গিয়েছিল। এখন একটি মাধ্যম থেকে খরচ হলে কেন্দ্র সহজেই তা ফিরিয়ে দিতে পারে রাজ্যকে। এ ব্যাপারে অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের (এজি) দফতরের সুপারিশও এমন ছিল বলে জানা গিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mamata Banerjee Chief Electoral Office West Bengal government Nabanna

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy