৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী মিলনী মণ্ডল সকালে ভয়ে কালভার্টের নীচে আশ্রয় নেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অধীর গিয়ে মিলনীকে বুথে পৌঁছে দেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে সকালে।
ঘেরাও। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
নির্বাচনের দিন বহরমপুর পুরসভার ২৮টি ওয়ার্ডের প্রায় প্রত্যেকটিতেই ছোটখাট অশান্তি তো থাকলই, বেলা যত গড়াল বিরোধীদের অভিযোগ, ‘বহিরাগতদের দিয়ে’ সর্বত্র চলল অবাধে ছাপ্পা ভোট। শহরের টাউন ক্লাবের কাছে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি প্রাথমিক স্কুলে বুথের মধ্যে ঢুকে কংগ্রেস প্রার্থী গায়ত্রী চৌধুরীর নির্বাচনী এজেন্ট তাঁরই বোন গীতা চৌধুরীর ওড়না কেড়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে। গায়ত্রীও আহত হন। তাঁর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি করেন, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করব, আপনি এক জন মহিলা অথচ এ দিন বহরমপুর শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।’’ মুর্শিদাবাদের জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহ রায় অবশ্য বলেন, ‘‘এ সবই কংগ্রেসের নাটক। যে সব অভিযোগ করছেন, তার কোনও প্রমাণ নেই।’’ এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
শাওনি বলেন, ‘‘বহরমপুরের সাংসদ বুথ জ্যাম করে ভোটারদের এক ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন।’’ টাউন ক্লাবের কাছে ভোট শেষ হওয়ার খানিক আগে অধীরবাবুর গাড়ি আটকে অবরোধ শুরু করে তৃণমূল। তিনি প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা আটকে থাকেন। বহরমপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাংসদ সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে গিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা তারই প্রতিবাদ করেছি।’’ অধীরের জবাব, ‘‘চোরের মায়ের বড় গলা।’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘আমাকে রাস্তায় আটকে দিয়ে ভোট লুট করেছে তৃণমূল।’’
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী মিলনী মণ্ডল সকালে ভয়ে কালভার্টের নীচে আশ্রয় নেন বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অধীর গিয়ে মিলনীকে বুথে পৌঁছে দেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের বুথ সভাপতিকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে সকালে। ভোট চলাকালীন আবার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থীর স্বামী কানু কুণ্ডুকে বুথের মধ্যেই মারধরের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুথের প্রিজ়াইডিং অফিসার প্রসেনজিৎ পাল ঘটনার কথা স্বীকারও করেন। বিজেপি দাবি করে, তাদের এক প্রার্থীও মার খেয়েছেন। তৃণমূলের শাওনির দাবি, ‘‘বিরোধীরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারপিট করে আমাদের উপরে দোষ চাপাচ্ছে।’’
বহরমপুরে এ দিন মাত্র ৬৫.১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy