Advertisement
E-Paper

পঞ্চায়েতের কাজে নানা ‘অনিয়ম’, বার্তা

সম্প্রতি দফতরের রাজ্যের আধিকারিকেরা বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত পরিদর্শন করে নথিপত্র যাচাই করেন। তখন তাঁদের নজরে কিছু খামতি ও অসঙ্গতি ধরা পড়ে।

—ফাইল চিত্র।

সুরজিৎ সিংহ

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:১৯
Share
Save

উন্নয়নের কাজে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিতে খামতি ও অসঙ্গতি থাকছে। যার জেরে টাকা খরচ হলেও অনেক ক্ষেত্রে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। সে কথা উল্লেখ করে পঞ্চায়েতগুলিকে কী ভাবে কাজ করতে হবে, এ ব্যাপারে এক গুচ্ছ নির্দেশ দিল রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর।

সম্প্রতি দফতরের রাজ্যের আধিকারিকেরা বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত পরিদর্শন করে নথিপত্র যাচাই করেন। তখন তাঁদের নজরে কিছু খামতি ও অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বড় ও টেকসই কাজের তুলনায় ছোট ছোট কাজের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অনেক সময় একটি কাজকে ভেঙে ছোট ছোট কাজ করা হচ্ছে। এক লক্ষ টাকার কমে কাজের জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে স্থানীয় ভাবে দরপত্র বা টেন্ডার তৈরি করতে হয়। তার বেশি হলে ই-টেন্ডার বাধ্যতামূলক।

আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, বড় তহবিল এলে অনেক পঞ্চায়েত সদস্য নিজেদের এলাকায় ছোট ছোট কাজের জন্য সেই টাকা ভাগ করে নিচ্ছেন। স্থানীয় ভাবে টেন্ডার করলে অনেক সময় নিজেদের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে। এটাও ছোট ছোট কাজের প্রবণতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, সাধারণ টেন্ডার বা ই-টেন্ডারের ক্ষেত্রে যেখানে, যত দিন বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিয়ম, তা-ও ঠিক মতো হচ্ছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করছেন না। মাঝে মধ্যেই গ্রামাঞ্চলে রাস্তা, নালা ও ভবন নির্মাণের কাজের মান নিয়েও অভিযোগ ওঠে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কাজের আগে নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষায় ঘাটতি থাকছে। কাজের আগে এবং কাজ চলার সময়ে বালি, পাথর, সিমেন্ট, ইট, লোহা, পিচ প্রভৃতির মান যাচাই করতে হবে। ঠিকাদারকে দিয়ে পরীক্ষা করালে হবে না। কাজ শেষ হওয়ার পরেও পরিকাঠামোর গুণগত মান যাচাই করতে হবে।

পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের নজরে এসেছে, জলের গুণগত মান যাচাই না করেও কোথাও কোথাও পানীয় জল সম্পর্কিত পরিকাঠামো গড়া হয়েছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেও কিছু পরিকাঠামো অকেজো হয়ে পড়ছে।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশন, রাজ্য অর্থ কমিশন, পঞ্চম অর্থ কমিশন, স্বচ্ছ ভারত মিশন ছাড়াও বিশ্ব‍ব্যাঙ্কের সহায়তায় আইএসজিপি প্রকল্পে উন্নয়নমূলক কাজে টাকা পায় পঞ্চায়েত। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে চলেছে। তার আগে নিয়ম মেনে বকেয়া কাজ শেষ করায় জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন সচিব পি উলাগানাথন বলেন, “রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি ভাল কাজ করছে। ওদের আরও ভাল কাজের জন্যই উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Panchayats West Bengal government Rural Development

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}