প্রশ্ন: জেলায় গত পাঁচ বছরে পরিষেবার মানের কতটা উন্নতি হয়েছে?
উত্তর: পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন, রাজ্য অর্থ কমিশন থেকে টাকা বরাদ্দ করা হয়। নাবার্ড, আরআইডিএফ-এর মতো সংস্থাগুলি জেলা পরিষদকে ঋণ দেয়। সব বিভাগের সমন্বয়ে কাজ হয়। আমরা সেই কাজটি সঠিক ভাবে করেছি বলে মনে করি।
প্রশ্ন: দু’একটি উদাহরণ?
উত্তর: শতাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাকাবাড়ি হয়েছে। অনেক স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন বসেছে। স্কুলে স্কুলে সাব-মার্সিবল পাম্প। সব হয়েছে আমাদের নিজস্ব তহবিলের টাকায়। এ ছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের টাকায় রাস্তা হয়েছে।
প্রশ্ন: জেলা পরিষদ তো কোটি কোটি টাকার কাজ করে ঠিকাদারের মাধ্যমে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি?
উত্তর: এখন কাজ হয় ই-টেন্ডারের মাধ্যমে। দুর্নীতির সুযোগ শূন্য।
প্রশ্ন: জেলায় প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক আছেন। করোনাকালে তাঁরা ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে এসেছিলেন। তাঁদের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে কী করা হয়েছে?
উত্তর: ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। যাঁরা দক্ষ মজুর, তাঁদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ ওই প্রকল্পে ছিল না। তাই তাঁরা ফের ভিন্ রাজ্যে চলে যান। অদক্ষ মজুরদের অনেকেই কাজ পেয়েছেন।
প্রশ্ন: তা হলে এই যে অভিযোগ উঠছে, একশো দিনের কাজ বন্ধ বলে কর্মসংস্থানে ধাক্কা লেগেছে গ্রামে? তৃণমূল নেতৃত্বই তো বলছেন।
উত্তর: তাও জেলায় উন্নয়নমূলক কাজে জবকার্ডধারীদের নিয়োগ করার জন্য ঠিকা সংস্থাগুলিকে বলেছি। রাস্তাশ্রী, পথশ্রী প্রকল্পেও প্রচুর জবকার্ডধারীকে কাজ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের কী অবস্থা?
উত্তর: ১৪টি ব্লকেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর কাজ করছে। আশা করি, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই সব বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে।
প্রশ্ন: কুলিয়া সেতুর কাজ করতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত কাজটি করছে পূর্ত দফতর। এটা তো আপনাদের ব্যর্থতা।
উত্তর: আমাদের ব্যর্থতা নয়। আসলে এই সেতুর দায়িত্ব বাম আমলে দেওয়া হয়েছিল জেলা পরিষদকে। কিন্তু এই সেতু করার পরিকাঠামো এবং টাকা যে জেলা পরিষদের ছিল না। তাই মুখ্যমন্ত্রী সেতু তৈরির দায়িত্ব পূর্ত দফতরকে দেন। সেতুর কাজ পুরোদমে চলছে।
প্রশ্ন: নিয়োগ দুর্নীতির সমস্যা কী ভাবে সামলাচ্ছেন?
উত্তর: আমার কার্যকালে গত পাঁচ বছরে জেলা পরিষদে কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে, এই প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক।
সাক্ষাৎকার: নুরুল আবসার
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)