বৈশাখের কড়া রোদে ঝলসে যাচ্ছে চোখ-মুখ।
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। রাস্তায় হাঁটাচলাই দায়। গায়ে যেন ফোসকা পড়ার জোগাড়। চোখে সানগ্লাস, মাথায় ছাতা দিয়েও গরমের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে না। বৈশাখের কড়া রোদে ঝলসে যাচ্ছে চোখ-মুখ। আগামী দু’দিন এই তীব্র দহনের হাতে থেকে রেহাই পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্টে কলকাতার তাপমাত্রা বাড়তে পারে আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একে ঝলসানো রোদ, তার উপরে বাতাসে আদ্রতাজনিত অস্বস্তির কারণে হাঁসফাস করছে রাজ্যবাসী। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে বাস-ট্যাক্সি। পাতাল পথের মেট্রোতে চড়েও ভুগচ্ছেন যাত্রীরা। কখন, যে কোথায় ধমকে যাবে মেট্রোর চাকা, তা বোঝা দায়। অনেকে আবার নন-এসি মেট্রো দেখে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। চাপ বাড়ছে এসি মেট্রোতে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধজাহাজে কানাডার নাগরিককে নিয়ে কী করছিলেন মোদী, তোপ কংগ্রেস নেত্রী দিব্যার
অনেকে মজা করে বলছেন, “এ তো মেট্রো নয়, যেন বঁনগা লোকাল।” প্যাচপেচে গরমে তাই ঠাসা ভিড়ের মধ্যেই চলছে মেট্রো যাত্রা।
আরও পড়ুন: জীবনযুদ্ধে সঙ্গী বাবা, রেকর্ডের পর রেকর্ড করে চলেছেন জাতীয় দলের এই তরুণ ওপেনার
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুধু কলকাতাতেই নয়, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়াতে তাপমাত্রাও আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়বে। বৃহস্পতিবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৭. ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৩৭. ৫ ডিগ্রিতে। এ ক্ষেত্রেও স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৬৩ শতাংশ। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ৫০ শতাংশের উপরে আপেক্ষিক আদ্রতা থাকলেই অস্বস্তি শুরু হয়। সেখানে কলকাতার সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আদ্রতার সূচক পৌঁছেছে গিয়েছে ৬০ শতাংশের উপরে।
কলকাতার পাশাপাশি এ রাজ্যের ৯ জেলার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী দু’দিন পুরুলিয়া, বাঁকু়ড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মালদহে তাপপ্রবাহ চলবে। রবিবারের পর কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে হতে পারে ঝড়-বৃষ্টিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy