Advertisement
E-Paper

সাইবার ক্রাইমেরই সাইট হ্যাকারদের খপ্পরে!

সাইবার অপরাধ বা এটিএম জালিয়াতির শিকার হলে যাঁদের কাছে সাহায্যের জন্য ছোটেন সাধারণ মানুষ, সেই পুলিশই এ বার ওয়েবসাইট হ্যাকারদের খপ্পরে! হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ওয়েবসাইট হ্যাক করে তাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে নানা বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ১৭:৫০

সাইবার অপরাধ বা এটিএম জালিয়াতির শিকার হলে যাঁদের কাছে সাহায্যের জন্য ছোটেন সাধারণ মানুষ, সেই পুলিশই এ বার ওয়েবসাইট হ্যাকারদের খপ্পরে!

হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ওয়েবসাইট হ্যাক করে তাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে নানা বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছে। আর এই ঘটনাই কার্যত প্রমাণ করে দিয়েছে, বিশেষজ্ঞ পুলিশ অফিসারদের নিয়ে সাইবার ক্রাইম শাখা খোলা হলেও নিজেদের ওয়েবসাইটকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। আর সেই সুরক্ষার ফাঁক গলেই ঢুকে পড়েছে হ্যাকাররা। গুরুত্বপূর্ণ এই সাইটে নানা বিরূপ মন্তব্য লিখে চলেছে। সোমবার রাত পর্যন্ত তা বন্ধ করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। ওই দিন শালিমার এলাকার বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির ছাত্র গোবিন্দ সিংহ ও বিকাশ পাণ্ডে হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় এসে প্রথম জানায়, সিটি পুলিশের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। রাতেই ওই দুই পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের দাবি, ওই দু’জন জানিয়েছে, তারা ল্যাপটপে বিভিন্ন সাইট খোলার সময়ে হাওড়া পুলিশের সাইটে এসে এই হ্যাকিং-এর বিষয়টা বুঝতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে সাইটের ওই অংশটার প্রিন্ট নিয়ে নেয়। তার পরে গোটা বিষয়টা বাড়ি ও পাড়ার লোকজনকে জানালে তাঁরা সাইবার ক্রাইম থানায় ঘটনাটা জানাতে বলেন।

সোমবার সকালে গোবিন্দ ও বিকাশকে তাদের ল্যাপটপ নিয়ে পুলিশ কমিশনার অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। পরে গোবিন্দ বলে, ‘‘পুলিশের ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে গিয়ে ওই সাইটটা হ্যাক হয়েছে বলে জানতে পারি। এখন পুলিশই আমাকে নানা ভাবে সন্দেহ করছে।’’

পুলিশের অবশ্য দাবি, ওই দুই কিশোরকে সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, তারা ঠিক কী ভাবে ওয়েবসাইট হ্যাকের বিষয়টা জানতে পারল। যদিও এ নিয়ে রাত পর্যন্ত ধন্দ কাটেনি হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞদের। হ্যাকিং বন্ধ করাও যায়নি।

এর কি কোনও প্রতিরোধ উপায় নেই?

সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হ্যাকাররা মূলত সাইটের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজে নিয়ে সেখান দিয়ে ঢুকে পড়ে। এ জন্য যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সাইট বিশেষজ্ঞ দিয়ে বছরে দু’তিন বার অন্তত সাইটটির নিরাপত্তা পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। বিদেশে এটা আবশ্যিক করে দেওয়া হয়েছে।’’

হাওড়ার পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। আশা করছি অপরাধী ধরা পড়বে।’’

Cybercrime Website police commissionerate police hack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy