আইনজীবীরা টানা পাঁচ দিন কাজ বন্ধ রাখায় ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে বিচারপ্রার্থীদের। তাঁদের হয়রানির পথ আরও প্রশস্ত করে, অবিলম্বে বিচারপতি নিয়োগের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে কর্মবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে সোমবার।
আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন এ দিন সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ না-করায় ৫ মার্চ পর্যন্ত হাইকোর্টে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া হবে। ৬ মার্চ সকালে পরিস্থতি পুনরায় খতিয়ে দেখে আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নেবেন, আরও বেশি দিন কর্মবিরতি চালানো হবে কি না।
প্রথম দফায় ১৯-২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচ দিনের কর্মবিরতি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসে আইনজীবী সেল। এ দিন ওই সংগঠনের নেতারা জানান, বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে তাঁরা নীতিগত ভাবে সমর্থন করছেন।
হাইকোর্টে কৌঁসুলি সংগঠনগুলি আগে জানিয়েছিল, প্রথম দফায় পাঁচ দিনের কর্মবিরতি হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে পরস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ হবে। এ দিন বেলা সাড়ে ১০টায় হাইকোর্ট চালু হতে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য বা অন্য বিচারপতিরা এজলাসে বসেননি। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আলাদা ভাবে বৈঠকে বসে। আইনজীবীরা কী সিদ্ধান্ত নেন, তা দেখেই এজলাসে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতিরা। বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ জানা যায়, ৫ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, বার লাইব্রেরি ক্লাব এবং ইনকর্পোরেটেড ল সোসাইটি।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উত্তম মজুমদার বৈঠকের পরে বলেন, ‘‘কর্মবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত। অন্য দুই সংগঠনও এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছে।’’ একই সঙ্গে উত্তমবাবু দাবি করেন, আইনজীবীদের একটি অংশ প্রথম দফার পাঁচ দিনের কর্মবিরতি সমর্থন করেননি। এ দিন তাঁরাও তিনটি সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। তৃণমূল আইনজীবী সেলের চেয়ারম্যান পান্তু দেবরায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বঞ্চনা যে-মাত্রা পেয়েছে, তাতে কর্মবিরতির মেয়াদ বাড়ানোকে নীতিগত সমর্থন দিতেই হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy