Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Abhishek Banerjee

উত্তরপ্রদেশের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহায় জং ধরবে না, ঢোলাহাটে মন্তব্য অভিষেকের

বর্তমানে কুলপি বিধানসভা তৃণমূলের দখলেই রয়েছে। কিন্তু গত এক-দেড় বছরে সেখানে অনেকটাই শক্তি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢোলাহাট শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:১৮
Share: Save:

এ বারের ভোটের লড়াইকে বাংলাবাসী বনাম বহিরাগতদের লড়াই বলে ইতিমধ্যেই আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল। সেই আওয়াজকেই শনিবার আরও এক ধাপ চড়া সুরে বাঁধলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কুলপি বিধানসভা কেন্দ্রের ঢোলাহাট মাঠে শনিবার বিশাল এক জনসভায় বক্তৃতা করেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘যাঁরা সোনার বাংলাকে সুনার বাংলা বলেন, তাঁরা কী সোনার বাংলা গড়বেন? শুধু জয় শ্রীরাম বললে হবে? দিলীপ ঘোষের গরুর দুধের সোনা দিয়ে কি সোনার বাংলা গড়বে ওরা? আগে সোনার উত্তরপ্রদেশ, সোনার মধ্যপ্রদেশ, সোনার হরিয়ানা বানিয়ে দেখান। তার পর বাংলার কথা ভাববেন।’’ এই সুর আরও চড়িয়ে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ ফুট ২ ইঞ্চির এক মহিলা।টালির ছাদের নীচে থাকেন, হওয়াই চটি পরে গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করতে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত থেকে নেতাদের টেনে আনতে হচ্ছে। মনে রাখবেন, উত্তরপ্রদেশের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহায় জং ধরবে না।’’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কেও একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভাববাচ্যে কথা বলেন কেন? আপনার কথায় তো ইডি-সিবিআই ওঠে বসে। আমার নাম নিতে ভয় কেন? ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়। আমি নাম নিয়ে বলছি, অমিত শাহ বহিরাগত, রাজনাথ সিংহ বহিরাগত, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। আমপানের সময় কোথায় ছিলেন এঁরা। একবারও খোঁজ নিতে এসেছিলেন? প্রতি বছর বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়ে যায় কেন্দ্র। ওই টাকা কি মোদীর টাকা? এটা সাধারণ মানুষের টাকা। তার পর আমপানে ১ হাজার টাকা দিয়ে বলছে, মোদীজি টাকা পাঠিয়েছেন। বসিরহাটের দিকে ১৫ মিনিট হেলিকপ্টার নমিয়ে ঘুরেই পালিয়ে গিয়েছেন মোদী। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় ঘুরেছেন। ’’

ক্ষমতায় এলে বকেয়া বাবদ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা করে জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন শাহ। তা নিয়েও তাঁকে একহাত নেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘ভোটে জিতলে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলছেন অমিত শাহ। বাংলার মানুষকে এ ভাবে কেনা যায় না। আর টাকা দিতে চাইলে নিয়ে নেবেন। নোট নেবেন পদ্মফুলের, ভোট দেবেন জোড়াফুলে। টাকা দিলে নেবেন। কাজে লাগাবেন। ভোট কিন্তু জোড়াফুলেই দেবেন।’’

সরাসরি আপডেট—

• নোট নেবেন পদ্মফুলের, ভোট দেবেন জোড়াফুলে। টাকা দিলে নেবেন। কাজে লাগাবেন। ভোট কিন্তু জোড়াফুলেই দেবেন।

• পদ নয় পতাকা, নেত্রী শুধু মমতা। বলছে বাংলার জনতা, নবান্নে আবার মমতা।

• বলছে, দুর্গার পিতৃপরিচয় নেই? কত ঔদ্ধত্য ভাবুন।মহিষাসুর বধ মনে আছে তো? সে ভাবেই বধ করা হবে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিকে, আর এক দিকে, বিজেপি, ইডি-সিবিআই, জগাই-মাধাই। মহিষাসুর বধ হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

• অমিত শাহ বলেছেন, মমতাজিও জয় শ্রীরাম বলবেন। আমিও বলছি, তোমাদের দিয়ে জয় সিয়া রাম বলিয়ে ছাড়ব।

• ভোটে জিতলে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলছেন অমিত শাহ। বাংলার মানুষকে এ ভাবে কেনা যায় না।

• উদ্বাস্তু তাড়াতে এত উৎসাহ, অরুণাচল থেকে আগে চিনকে হটিয়ে দেখাক দেখি।

• বাংলার সংস্কৃতি জানে না এরা। ক’দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে গিয়েছেন বিবেকানন্দ ঠাকুর।

• ক্ষমতায় এলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে বলছে। মতুয়ারা যদি নাগরিকই না হন, তাহলে কাদের ভোটে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলেন?

• মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তন নেই। আর বিজেপি নেতাদের দেখুন।

• প্রতি বছর বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়ে যায় কেন্দ্র। ওই টাকা কি মোদীর টাকা? এটা সাধারণ মানুষের টাকা। তার পর আমপানে ১ হাজার টাকা দিয়ে বলছে, মোদীজি টাকা পাঠিয়েছেন। বসিরহাটের দিকে ১৫ মিনিট হেলিকপ্টার নমিয়ে ঘুরেই পালিয়ে গিয়েছেন মোদী। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় ঘুরেছেন।

• কারা বিজেপি-র সঙ্গে ভিতরে ভিতরে যোগাযোগ রাখছিল দেখলেন তো? দলের স্টিয়ারিং এখন একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।

• বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও উন্নয়ন করেনি। অথচ দিলীপ ঘোষের বাড়ির লোকই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাচ্ছেন।

• উত্তরপ্রদেশের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহা জং ধরবে না। আগামী ৫০ বছর বাংলায় তৃণমূল থাকবে।

• নেতাজি কি রাজনীতির পাত্র? ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্মদিনে এক জন মহিলাকে অসম্মান করছে? বাংলার লোক বলে গাত্রদাহ? এটা মমতাকে মুখ্যমন্ত্রীর করার লড়াই নয়, এটা বহিরাগতদের বাংলা থেকে হটানোর লড়াই।

• এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গেই এক জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। তাই ওদের এত সমস্যা।

• দিলীপ ঘোষ বলেছেন মা দুর্গার কোনও পরিচয় নেই। মা-বোনেদের বলব, যারা নারীদের সম্মান করতে জানে না, যারা হাথরস ঘটায়, তাদের বিদায় করুন।

• জয় শ্রীরাম না বলে জয় সিয়া রাম বলার ক্ষমতা আছে বিজেপির? বলতে পারবে না। কারণ মহিলাদের সম্মান দিতে জানে না এরা।

• মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাইরে থেকে নেতা আনাতে হচ্ছে, তৃণমূল থেকে নেতা ভাঙাতে হচ্ছে।

• আমাকে ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমার গলা কেটে দিলেও ‘জয় বাংলা’, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ জিন্দাবাদই বেরোবে।

• ভাববাচ্যে কথা বলেন কেন? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি, আপনার কথায় ইডি-সিবিআই ওঠে বসে, আমার নিতে ভয় কেন? ‘ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়’। আমি নাম নিয়ে বলছি, অমিত শাহ বহিরাগত, রাজনাথ সিংহ বহিরাগত, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত।

• চুরি করতে সুবিধা হবে বলে ডাবল ইঞ্জিন সরকার, যাতে চুরি করলে ধরা না পড়ে। যেমন গুজরাতে চোর ধরা পড়ে না।

• বিজেপির মুখে শুধু জয় শ্রীরাম, বলছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার বানাব, মমতার এক ইঞ্জিনের সরকার তো আগে সরিয়ে দেখাক।

• যারা বলছে এই বার ২০০ পার, এই মাঠে সভা করে দেখাও।

• বিজেপি নেতাদের মুখে উন্নয়নের কোনও কথা নেই।

• ৩১-এ ৩১ পাওয়ার আগে একটা পদ্ম ফুটিয়ে দেখান।

• ৫ ফুট ২ ইঞ্চির মহিলা, টালির ছাদের নীচে থাকেন, হওয়াই চটি পরে গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়ান, তাঁর বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে বাইরে থেকে লোক আনতে হচ্ছে বিজেপি-কে।

• আগে সোনার রাজস্থান, সোনার হরিয়ানা বানান, তার পর বাংলার দিকে চোখ তুলে তাকাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE