E-Paper

মাধ্যমিকে ফোন-সহ ধরা পড়লে ৩ বছর পরীক্ষা বাতিলের চিন্তা

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন এ বার মোবাইল ফোন-সহ কেউ ধরা পড়লে এক বছর নয়, তিন বছর পর্যন্ত ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:২১

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন এ বার মোবাইল ফোন-সহ কেউ ধরা পড়লে এক বছর নয়, তিন বছর পর্যন্ত ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ জানিয়েছে, ফোন না আনার বিষয়ে বারবার সচেতন করা হচ্ছে। অভিভাবকদেরও বলা হচ্ছে। এর পরেও যদি কেউ ফোন আনে এবং পরীক্ষা চলাকালীন ধরা পড়ে, তা হলে পর্ষদ অন্য বারের থেকে আরও বেশি কঠোর পদক্ষেপ করে তিন বছরের পরীক্ষা বাতিল করতে পারে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার বলেছেন, “পরীক্ষার হলে ঢোকার সময়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের শিক্ষকেরা পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল আছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখবেন। তা সত্ত্বেও কোনও ভাবে চোখ এড়িয়ে মোবাইল নিয়ে কেউ ঢুকে পড়লে সেই ফোন জমা দেওয়ার শেষ বারের সুযোগ দেওয়া হবে। যিনি গার্ড দিচ্ছেন, তিনি পরীক্ষা শুরুর আগে শেষ বারের মতো সতর্ক করে দেবেন।” পর্ষদের সভাপতি জানান, এর পরেও কেউ যদি ফোন জমা না দেয় এবং পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরে ফোন-সহ ধরা পড়ে, তা হলে সেই পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হবে। ফোনও ফেরত দেওয়া হবে না।

পর্ষদকর্তারা জানাচ্ছেন, গত বার পরীক্ষা চলাকালীন যে সব পরীক্ষার্থীর কাছে ফোন পাওয়া গিয়েছিল, তাদের ফোনের কল লিস্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেই সব পরীক্ষার্থীর বাড়ির লোক পরীক্ষা চলাকালীন ফোন করে করে জানতে চেয়েছেন, তারা পরীক্ষার হলে ঠিকমতো পৌঁছেছে কি না, ফোন সঙ্গে আছে কি না। রামানুজ আরও বলেন, “বহু অভিভাবকের সচেতনতার এতটাই অভাব! মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বয়সে ছোট। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে আসছে। তাই তাদের সচেতন করার কর্তব্য অভিভাবকদেরও।”

পর্ষদ জানিয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে তিনটি জায়গায় সিসিটিভি বসানোটা বাধ্যতামূলক— পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটের মুখে, বারান্দায় এবং সুপারভাইজ়ারের অফিসে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভির ফুটেজ অন্তত ছ’মাস রেখে দিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা শৌচাগারে বা পরীক্ষা কেন্দ্রের অন্য কোথাও ফোন রেখেছে কি না, তা দেখার জন্য এ বার প্রত্যেক কেন্দ্রের শিক্ষকদের বারবার নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal Board Of Secondary Education School students Exam Student Cheating

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy