Advertisement
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
100 days work

বন্ধ আছে একশো দিনের কাজ, মনে করাতে চিঠি

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় একশো দিনের কাজ পরিদর্শনে বারবার এ রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। দিল্লি ফিরে তারা নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে রিপোর্ট দিয়েছে।

100 days work.

বিভিন্ন জেলায় একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রয়েছে। —ফাইল চিত্র।

  বরুণ দে
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ০৭:৩০
Share: Save:

একশো দিনের কাজ এ রাজ্যে বন্ধ রয়েছে। ফলে, কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পে কোনও কিছুই করা যাবে না। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে জেলাগুলিকে ফের এ কথা জানাল রাজ্য। মনে করাল, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় ‘জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা’ আইনের ২৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করেছে। ফলে, এই প্রকল্পের কোনও কাজই রাজ্যে করা যাবে না।

সম্প্রতি রাজ্যের একশো দিনের কাজ প্রকল্পের ‘সেল’ বা বিভাগ থেকে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলাগুলিতে। সেখানে মনে করানো হয়েছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা আইনের ২৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করেছে। ফলে তখন থেকেই আটকে গিয়েছে কেন্দ্রের বরাদ্দ। তবে ওই ‘সেল’ সূত্রে খবর, প্রকল্পের কাজ বন্ধের নির্দেশ সত্ত্বেও কয়েকটি জেলা মাস্টার রোল তৈরি করছিল। কিছু কাজের মাধ্যমে শ্রমদিবস সৃষ্টি করছিল। এফটিও (ফান্ড ট্রান্সফার অর্ডার) করছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরই ওই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

মূলত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় একশো দিনের কাজ পরিদর্শনে বারবার এ রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। দিল্লি ফিরে তারা নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে রিপোর্ট দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সেই বিষয়কে সামনে রেখে তৃণমূল গ্রামে প্রচারও শুরু করেছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতির ফলেই ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

বিভিন্ন জেলায় একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া রয়েছে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৫১৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু মজুরি বাবদ বকেয়া প্রায় ২৭৭ কোটি টাকা। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলছেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা পাঠাচ্ছে না। তাই বকেয়া মেটানো যাচ্ছে না।’’ টাকা পাঠানোর যে কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই, এই নির্দেশ সে কথাই মনে করিয়েছে।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্য থেকে কর বাবদ টাকা কেন্দ্রের তহবিলে জমা রয়েছে। তার পরেও বকেয়া টাকা আটকে রাখা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোট মেটার পর দিল্লিতে ধর্না হবে।” রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি শমিত দাশের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রের পাঠানো টাকা লুট করেছে তৃণমূল। তাই এই অবস্থা। কেন্দ্র হিসেব চেয়েছে। তা-ও দেওয়া হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE