Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Langcha

ল্যাংচার ‘জিআই’ তকমা নিয়ে উদ্যোগ

বছর আড়াই আগে ভৌগোলিক স্বীকৃতি (জিআই) তকমা পেয়েছে বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা।

শক্তিগড়ের ল্যাংচা। ছবি: সংগৃহীত

শক্তিগড়ের ল্যাংচা। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৫৪
Share: Save:

বছর আড়াই আগে ভৌগোলিক স্বীকৃতি (জিআই) তকমা পেয়েছে বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা। তারও আগে বর্ধমানের ‘গোবিন্দভোগ’ চাল ওই স্বীকৃতি পেয়েছে। এ বার শক্তিগড়ের ল্যাংচা যাতে জিআই তকমা পায়, সে জন্য উদ্যোগী হল রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। শুধু ল্যাংচা নয়, কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের কাছে নতুনগ্রামের কাঠের পেঁচা, খণ্ডঘোষের ওঁয়ারির মহিলাদের তৈরি ‘ফেজ টুপি’ ও জেলার মশলা বড়িও যাতে ওই স্বীকৃতি পায়, সে চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার বর্ধমানের উল্লাস মোড়ের কাছে ‘মিষ্টি হাবে’ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান সচিব বরুণকুমার রায়ের উপস্থিতিতে কর্মশালা হয়। সেখানে সীতাভোগ-মিহিদানা ও ল্যাংচা বিক্রেতারা ছিলেন। নতুনগ্রাম, খণ্ডঘোষের শিল্পীরাও হাজির ছিলেন। বরুণবাবু জানান, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা আগেই জিআই পেয়ে গিয়েছে। শক্তিগড়ের ল্যাংচা কী পদ্ধতিতে ‘জিআই’ পেতে পারে, কেন এই তকমা পাওয়া প্রয়োজন, সে সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ দিনের সভায় ল্যাংচার গুণমান বৃদ্ধি ও ল্যাংচা তৈরির সময়ে নিয়মনীতি মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কর্মশালায় হাজির ছিলেন জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) বিজয় ভারতী, আইআইটি-র অধ্যাপক প্রবুদ্ধ গঙ্গোপাধ্যায় ও নীহারিকা ভট্টাচার্য। সেখানে জানানো হয়, ল্যাংচার ইতিহাস সংক্রান্ত তথ্য ও নথি দিয়ে ‘জিআই’ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। জেলাশাসক বলেন, “নতুনগ্রামের পেঁচা, খণ্ডঘোষের ফেজ টুপিও যাতে ওই তকমা পায়, সে জন্য জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হবে।’’ সেই সঙ্গে বালাপোশ, নকশিকাঁথার কাজেরও যাতে স্বীকৃতি মেলে, তার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

বরুণবাবু খণ্ডঘোষের মহিলাদের তৈরি টুপি দেখে প্রশংসা করেন। তাঁর কথায়, ‘‘যদি এ ধরনের নকশা অন্য জায়গার নকল না হয়, তা হলে আমরা এই নকশা সংরক্ষণে উদ্যোগী হব।’’ টুপিগুলি বিদেশের বাজারে বিক্রির ব্যাপারেও রাজ্য সরকার সচেষ্ট হবে বলে তাঁর আশ্বাস। এ দিন অনুষ্ঠানে আসা খণ্ডঘোষের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা জানান, সরকারি স্বীকৃতি পেলে তাঁদের আর্থিক লাভ হবে। এক সদস্য দাবি করেন, “আমরা নিজেরাই ফেজ টুপির নকশা তৈরি করেছি।’’

কমর্শালায় ‘জিআই লোগো’ পাওয়ার জন্য ১০ জন সীতাভোগ-মিহিদানা ব্যবসায়ী আবেদন জানান। জেলা শিল্পকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, তিন সদস্যের দল দোকানগুলি পরিদর্শন করে খাবারের গুণমান পরীক্ষা, নিয়ম মেনে তা তৈরি হচ্ছে কি না দেখার পরে ‘লোগো’ পাওয়া যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Langcha Saktigarh GI Tag
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE