কেন্দ্রের কাছে আরও ১০ কোম্পানি বাহিনী চাইল রাজ্য সরকার। —ফাইল চিত্র।
রোজই পাহা়ড়ে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রের কাছে আরও ১০ কোম্পানি বাহিনী চাইল রাজ্য সরকার। এ দিনই এক জনস্বার্থ মামলায় শুনানির শেষে পাহাড়ের ঝামেলা বন্ধে রাজ্য আধাসেনা চাইলে কেন্দ্রকে তা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত কোর্টে জানান, কেন্দ্রের কাছে ৩০ কোম্পানি আধাসেনা চাওয়া হয়েছিল। ক’দফায় মাত্র ১১ কোম্পানি দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু আরও প্রয়োজন। এর পরেই তিনি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে আবেদন করেন, কোর্ট কেন্দ্রকে আধা সামরিক বাহিনী পাঠাতে নির্দেশ দিক। বিচারপতি মাত্রে এজি-র আবেদন শুনে বলেন, ‘‘এটি কেন্দ্র ও রাজ্যের বিষয়। হাইকোর্ট এর মধ্যে ঢুকতে চায় না।’’
এ দিনই নবান্নে রাজ্যের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ জানান, পাহাড় পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আরও বাহিনী চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দার্জিলিঙে হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। উগ্রবাদীদের আন্দোলন রুখতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ করছি।’’ ডিজি জানান, পাহাড়ে এ বারে যাচ্ছেন ডিজি পদ মর্যাদার অফিসার রাজ কানোজিয়া। আন্দোলনের নেতা বিমল গুরুঙ্গকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন এড়িয়ে ডিজি বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’ পাহাড় থেকে সেনা সরে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীতেই ভরসা রাখছে রাজ্য।
এর আগে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, মামলায় গুরুঙ্গ, রোশন গিরি ও সংগঠনকে যুক্ত করতে। একই সঙ্গে নির্দেশ ছিল, নেতাদের হাতে মামলার নথি ধরাতে না পারলে, তাঁদের বাড়িতে ও সংগঠনের কার্যালয়ে তা সাঁটিয়ে দিয়ে আসতে। আদালতে কিশোরবাবু এ দিন জানান, দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার এই নির্দেশ কার্যকর করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy