গত বছর জুলাই মাসে যে পরিমাণ পণ্য এবং পরিষেবা কর (জিএসটি) রাজ্যে আদায় হয়েছিল তার তুলনায় এ বছর সেই পরিমাণটা অনেকটা বেশি! পরিসংখ্যান তুলে এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে জুলাই মাসে রাজ্যে জিএসটি বাবদ আদায় হয়েছিল পাঁচ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে সেই জুলাই মাসে জিএসটি বাবদ আদায়ের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। গত বারের তুলনায় যা ৬৩৮ কোটি টাকা বেশি।
জিএসটি সংক্রান্ত এই তথ্য এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে মমতা লেখেন, ‘‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পশ্চিমবঙ্গে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে জিএসটি আদায়ে বার্ষিক ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অর্থবছরে জুলাই পর্যন্ত জিএসটি আদায়ে সামগ্রিক ৭.৭১ শতাংশ বেড়েছে।’’ মমতার দাবি, এই পরিসংখ্যানই রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্স পোস্ট।
বস্তুত, জিএসটির দু’টি ভাগ থাকে। একটি ভাগ থাকে যা কেন্দ্রীয় সরকার পায় (সিজিএসটি) এবং অপর ভাগটি (এসজিএসটি) পায় রাজ্য সরকার। যখন কোনও পণ্য বা পরিষেবা একই রাজ্যের মধ্যে বিক্রি হয়, তখন জিএসটি বাবদ শুল্ককে সিজিএসটি এবং এসজিএসটিতে ভাগ করা হয়। আবার যখন কোনও পণ্য এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বিক্রি হয়, তখন নেওয়া হয় ‘ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি’ বা আইজিএসটি। এই আইজিএসটির টাকা প্রথমে পুরোপুরি কেন্দ্রের কাছে যায়। এই শুল্কের একটি অংশ পরে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়। এসজিএসটি বাবদ টাকা সরাসরি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কাছেই আসে।
আরও পড়ুন:
তবে জিএসটি নিয়ে মমতা বার বার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, রাজ্যের ভাগের টাকা আটকে রেখেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।