সাংবাদিক বৈঠকে হংসরাজ গঙ্গারাম আহির। —নিজস্ব চিত্র
পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গেলে অমিত শাহের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই তাঁর সফর কাটছাঁট করে বলরামপুরে একটিই কেন্দ্রীয় কর্মসূচি করুন বিজেপি সভাপতি। পুলিশের এই যুক্তি রাজ্যের বিজেপি নেতারা যখন এক প্রকার মেনে নিয়েছিলেন, তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ গঙ্গারাম আহিরের মন্তব্যে নতুন করে টানাপড়েন তৈরি হল। শুক্রবার কলকাতায় হংসরাজ বলেন, ‘‘দেশের যে কোনও প্রান্তে যে কেউ যেতে পারেন। নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যের।’’
আগামী ২৭ জুন দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। প্রথম দিন কলকাতায় একাধিক কর্মসূচির পর ২৮ জুন পুরুলিয়ায় যাওয়ার কথা তাঁর। সফরসূচি চূড়ান্ত না হলেও বলরামপুরে মৃত দলীয় দুই কর্মী দুলাল কুমার এবং ত্রিলোচন মাহাতোর বাড়িতে বিজেপি সভাপতি যাবেন বলে ঠিক হয়। কিন্তু পুলিশের যুক্তি, দুলাল কুমারের গ্রামে যেতে কোনও সমস্যা না থাকলেও ত্রিলোচন মাহাতোর বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামে। যোগাযোগ পরিকাঠামো খুব দুর্বল। তা ছাড়া অমিত শাহকে দেখতে প্রচুর লোকের জমায়েত হবে। ফলে সব মিলিয়ে তাঁর পুরো কর্মসূচির নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে পুলিশ। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশের পৌঁছনো এবং তার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই সব প্রতিকূলতার কথা উল্লেখ করে পুলিশ বিজেপি নেতাদের জানায়, অমিত শাহের কর্মসূচি বলরামপুরের কোনও একটি জায়গায় সীমাবদ্ধ রাখা হোক। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখে রাজ্য বিজেপি নেতারাও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করেননি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জা্নান, পুলিশের পরামর্শ মেনে অমিত শাহের সফরসূচি কাটছাঁট করার জন্য দিল্লিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডাক্তারি পড়তে ১ কোটি টাকা! পুলিশের জালে ভুয়ো অ্যাডমিশন চক্র
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে হংসরাজ বলেন, ‘‘প্রতিটি নাগরিকের দেশের যে কোনও প্রান্তে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। এ ক্ষেত্রেও অমিত শাহের নিরাপত্তা রাজ্য সরকারই দেবে।’’ এ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার হলে চলে এল ভুল প্রশ্নপত্র, ফের বিতর্কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
আর এই মন্তব্যের পরেই নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি মন্ত্রী রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন? আবার হংসরাজের বক্তব্যকেই যদি শেষ কথা ধরে নিতে হয়, তা হলে অমিত শাহ বলরামপুরে মৃত দুই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে অবশ্যই যাচ্ছেন এবং রাজ্য সরকার তাঁর নিরাপত্তা দিতে বাধ্য থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy