প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, রাজ্যে বেড়েছে ডেঙ্গি-২ দাপট। যার জেরেই ডেঙ্গি আক্রান্তের প্রাণহানির ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছে। অথচ রোগী-মৃত্যুর পরে কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও নথি যাচাই হয়নি স্বাস্থ্য দফতরে।
রাজ্য জুড়ে এখনও পর্যন্ত কমবেশি ২০ জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠলেও মাত্র দু’জনের ক্ষেত্রে তার প্রমাণ মিলেছে। বাকিদের নথি যাচাইয়ের কাজ চলছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। নথি যাচাই করে তার প্রমাণ মিলেছে। তাই আপাতত রাজ্যে ডেঙ্গি-মৃত্যুর সংখ্যা ২। তবে কত জন আক্রান্ত, সেই হিসেব এখনও নেই।’’ তবে স্বাস্থ্য-কর্তারা নিশ্চিত, গত বারের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গি সংক্রমণ কম।
ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের তরফে স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে যে, এ বার রাজ্যে ডেঙ্গি-২ প্রকোপ বেশি। ডেঙ্গির চরিত্র যাচাই করে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা স্বাস্থ্যভবনে জানিয়েছে, এতে প্রাণহানির আশঙ্কা বেশি।
পরজীবী বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানান, ডেঙ্গি-২ সংক্রমণ রুখতে দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন। যে সব এলাকায় রোগী মারা গিয়েছেন, সেখানে বাড়তি নজরদারি দরকার। অথচ মৃতের তথ্য যাচাই করতেই স্বাস্থ্য দফতরের কয়েক সপ্তাহ কেটে যাচ্ছে। এখনই উত্তর ২৪ পরগনা, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ডেঙ্গিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। কলকাতায় চলতি সপ্তাহে ৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। বিধাননগর পুর এলাকায় ৩০ অগস্ট নারায়ণ শ্রেষ্ঠ এবং ৬ সেপ্টেম্বর আকাশ চৌধুরি নামে দুই বালক মারা যায়। স্বাস্থ্য দফতর এখনও সেই সব নথি যাচাই করে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করতে পারেনি।
তবে ডেঙ্গি ২ যে বিপদ বাড়াচ্ছে, তা মেনে নিচ্ছেন অজয়বাবু। তাঁর কথায়, ‘‘ডেঙ্গি ২ প্রাণহানির আশঙ্কা বাড়ায়। তবে অযথা যাতে আতঙ্ক না ছড়ায় সেই জন্যই বাড়তি সতর্কতা নিয়ে মৃত রোগীদের নথি যাচাইয়ের কাজ চালু রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy