—ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে দেড় ঘণ্টার আলোচনার পর ভোটাভুটির জন্য ডিভিশন চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই ডিভিশন মেনে ভোটাভুটি হলে শাসক দলের পক্ষে ভোট দেন ১১২ জন বিধায়ক। আর বিরোধী দলের পক্ষে ভোট পড়ে ৬৩। ফলে পাশ হয়ে যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আনা বিএসএফের সীমান্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবটি। শাসক দলের পক্ষে এই আলোচনায় যেমন অংশ নিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় ও রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর ও দিনহাটা থেকে সদ্য উপ-নির্বাচনে জয়ী বিধায়ক উদয়ন গুহ। তেমনই বিরুদ্ধে শিবিরের হয়ে প্রস্তাবের বিপক্ষে বলেন বিরোধী দলনেতা, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
প্রস্তাবের বিপক্ষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের বিএসএফের সীমান্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক। প্রয়োজনে এই সীমান্ত বৃদ্ধির পরিমাণ ৮০ কিলোমিটার করা হোক। আমরা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব তাঁরাও যেন এই প্রস্তাবে আমাদের সঙ্গে গলা মেলান।" তিনি আরও বলেন, "সংবিধানের ১৬৯ ধারায় সবাই এই প্রস্তাব পাশ হলেও, তার কোনও মূল্য নেই। কারণ এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে সব প্রস্তাব পাশ করেছে রাজ্য, সেই সব প্রস্তাবগুলোর যে অবস্থা হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও তাই হবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উচিত প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির অপেক্ষা করা।"
তৃণমূলের পক্ষে পার্থ বলেন, "বাংলার জনগণ ভোট তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। তাই বিএসএফের সীমানা আসলে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা নয়তো?" তিনি আরও বলেন, "আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এ বিষয়ে তাঁর প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব যখন রাজ্যে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছিলেন, তখন রাজ্য সরকারের পক্ষে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়েছে।" পার্থর আরও দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার তেমনটা করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy