ছবি: পিটিআই।
বিদেশ থেকে ফেরার সময় মাঝপথেই লকডাউনে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। অচেনা শহরে এই পরিস্থিতিতে হোটেল বা ধর্মশালাতেও ঠাঁই পাননি। অগত্যা বন্দর এলাকার একটি মাদ্রাসায় থাকতে হচ্ছিল কাশ্মীরি যুবক সুহেব জাহুরকে। শেষমেশ শুক্রবার রাতে ওই মাদ্রাসা থেকে তাঁকে উদ্ধার করেছে ওয়াটগঞ্জ থানা।
পুলিশ সূত্রের খবর, থানার ওসি অমিত বিশ্বাসের উদ্যোগে খিদিরপুর এলাকার একটি অতিথিশালায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সুহেবের। খাবারও মিলছে। লকডাউন শেষে যাতে তিনি বাড়ি ফিরে যেতে পারেন, তা-ও নিশ্চিত করবে পুলিশ। সুহেবের শারীরিক পরিস্থিতির উপরেও নজর রাখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বছর তেইশের সুহেব বাংলাদেশের একটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারির চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি শ্রীনগরের একটি গ্রামে। আর্থিক ভাবে দুর্বল পরিবারের সদস্য স্কলারশিপ পেয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেওয়ার পরেই তিনি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতির অভাবে বাড়ি থেকে তেমন সাহায্য পাননি। বাংলাদেশ থেকে টাকা জোগাড় করে বনগাঁ সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢোকেন। সেখান থেকে কলকাতা পৌঁছন। এখান থেকে কাশ্মীরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তত ক্ষণে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে লকডাউন।
পুলিশকে সুহেব জানিয়েছেন, কলকাতার ধর্মশালা বা কোনও আস্তানা ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাতেই ছিলেন। সেই অবস্থাতেই কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা নম্বরে ফোন করে নিজের পরিচয় দেন এবং দুরবস্থার কথা বলেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁর কাছে পৌঁছয় ওয়াটগঞ্জ থানা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy