ফাইল চিত্র।
পাহাড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের ভোট করাতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কেন্দ্রের গাফিলতিতে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে না। বুধবার রাজ্যের পুরভোটে শাসক দল তৃণমূল বিপুল ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পর, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘দার্জিলিঙে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আমি খুশি। এ বার এখানে জিটিএ এবং পঞ্চায়েত ভোটও করিয়ে দেব।’’
পুরভোটে দার্জিলিংয়ের ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে দু’টিতে জিতেছে তৃণমূল। ৩০টি আসনে জয়ী হয়েছে রাজনীতিতে তিন মাসের সদ্যোজাত অজয় এডওয়ার্ডের দল হামরো পার্টি। মমতা অবশ্য দার্জিলিংয়ে তৃণমূলের ২টি ওয়ার্ডে জয়কে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন। বুধবার তিনি বলেছেন, ‘‘পাহাড়ে তৃণমূলের কিছু ছিল না এবার খাতা খুলেছে। আমি দেখছি যদি এ বার ওখানে পঞ্চায়েত ভোটটাও করিয়ে দেওয়া যায়।’’
দার্জিলিংয়ে অবশ্য এখনও পঞ্চায়েত রয়েছে। তবে সেগুলি দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত। মমতা জানিয়েছেন, তিনি ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত গড়তে চান। তবে তার জন্য কেন্দ্রের অনুমোদন দরকার। কারণ পঞ্চায়েত আইন হল কেন্দ্রের আইন। এ প্রসঙ্গে মমতা বুধবার বলেছেন, ‘‘পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনেকদিন হয়নি। আমি বার বার কেন্দ্রকে বলছি আইনটা আমাদের করে দিন। যাতে মানুষ পঞ্চায়েতের সুযোগটা পায়। কিন্তু কেন্দ্র গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমাদের প্রস্তাব পরে আছে দীর্ঘদিন ধরে।’’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের পুরভোটেও দার্জিলিঙের একটি ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল। সেবার অন্য রাজনৈতিক দলগুলি জিতেছিল ৩১টি আসন। এ বার দার্জিলিংয়ের পুরভোটে অজয়ের দলের পাশাপাশি লড়েছে বিমল গুরুং, অনীতা থাপাদের দলও। যার মধ্যে গুরুং সম্প্রতিই হাত ধরেছে তৃণমূলের। মমতা অবশ্য জানিয়েছেন, যে পাঁচটি রাজনৈতিক দল দার্জিলিঙে ভোটে অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই তৃণমূলের সদ্ভাব আছে। তিনি এ-ও বলেছেন যে, ‘‘আমার লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটা শুরু করা। সেটা হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে বাকি কাজও হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy