ফেব্রুয়ারি থেকেই বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছিল। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোটের পরে এই বিষয়ে বিচার-বিবেচনা করা হবে। সেই নির্বাচন মিটেছে। এ বার সব ধরনের বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরব হচ্ছে বাস-মালিক সংগঠন।
বিভিন্ন বাস-মালিক সংগঠনের অভিযোগ, ঘুরপথে সরকারি বাসের ভাড়া বাড়ানো হলেও ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে বেসরকারি বাসের ভাড়া বাড়েনি। অথচ জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিমা খাতে খরচ কয়েক গুণ বেড়েছে। বাস-মালিকদের বক্তব্য, ফেব্রুয়ারিতে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি জানানোর পরে নারায়ণ স্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে একটি কমিটিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার ভার দেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কমিটিই জানায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বাস-মালিকদের দাবিদাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাস-মালিক সংগঠনগুলি জানাচ্ছে, সেই সময় ডিজেলের যা দাম ছিল, তার তুলনায় গত কয়েক মাসে লিটার-প্রতি দাম অম্তত সাত টাকা বেড়েছে। আগামী কয়েক দিনে আরও ৩-৪ টাকা দাম বাড়তে পারে। এই অবস্থায় সরকার ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত না-নিলে বাস পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
শুক্রবার জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজিয়ন বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন যৌথ বৈঠক করে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী ২১ মে এই বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে। ২৫ মে-র মধ্যে সরকার ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না-জানালে ২৮ মে পরিবহণ ভবন অভিযান করা হবে বলে জানান জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটসের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিনিবাস সংগঠনের তরফে প্রদীপ নারায়ণ বসু এবং স্বপন ঘোষ জানান, যাত্রী-পিছু খরচ ১৩-১৪ টাকায় পৌঁছে যাওয়া সত্ত্বেও ন্যূনতম ভাড়া এখনও থমকে রয়েছে সাত টাকায়। অন্যান্য বাস সংগঠনও একই দাবি নিয়ে পরিবহণ দফতরের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। তাই এই ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy