অনির্বাণ ভট্টাচার্য
নিজেকে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের রাজ্যস্তরের নেতা ও সাংসদ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। দলের নামে সভা করার অভিযোগও রয়েছে ওই ব্যক্তি ও তাঁর তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ গ্রেফতার করল তাঁদের। পুলিশ সূত্রের খবর, আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেন ই-মেলে দার্জিলিঙের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। নকশালবাড়ির তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ টোপ্পোও তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতারের পর মূল অভিযুক্ত অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমি সন্ধ্যা রায়ের আপ্তসহায়ক। কখনই সাংসদ পরিচয় দিইনি।’’
মেদিনীপুরের সাংসদ সন্ধ্যা রায়ের বক্তব্য, ‘‘আমার নাম ভাঙিয়ে টাকা তুলছিলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোনও একটি ট্রেড ইউনিয়নের বৈঠক করতে গিয়ে কী করেছে, জানি না। আমার গাড়ি আমি ছাড়া কেউ ব্যবহার করে না। আগে কখনও আঁচ পাইনি যে অনির্বাণ এ ধরনের কাজ করে। আমাকে দল থেকে ফোন করে গ্রেফতারের খবর জানানো হয়েছে।’’
পুলিশ জেনেছে, নীলবাতি লাগানো আর সাংসদের নাম লেখা গাড়ি নিয়ে অভিযুক্তরা গত সাত দিন বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কালিম্পং ছাড়াও নকশালবাড়িতে সভা করেন তাঁরা। দলের নাম ব্যবহার করে অভিযুক্তরা টাকা তুলেছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। খোঁজ চলছে গাড়িটিরও। এ দিন দুপুরে অভিযুক্তদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে অনির্বাণকে ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি তিনজনকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অনির্বাণ কলকাতার সিএন রায় রোডের বাসিন্দা। ধৃত সন্দীপ পাত্র পূর্ব মেদিনীপুরের, অশোক মাহাত ঝাড়গ্রামের এবং মহম্মদ দানিশ কলকাতার বাসিন্দা। সরকারি আইনজীবী সুদীপ বসুনিয়া বলেন, ‘‘সকলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।’’ জেলা পুলিশের ডিএসপি (গ্রামীণ) প্রবীর মণ্ডল বলেন, ‘‘ধৃতদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, কালিম্পং থেকে দু’দিন আগে শিলিগুড়িতে এসে অভিযুক্তরা বিভিন্ন বাগানে ঘোরাফেরা শুরু করেন। সবাইকে নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য দিলীপ টোপ্পো’র বাড়িতে সভাও করেন। পরে দিলীপবাবু জেলা নেতৃত্বেকে সব জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy