Advertisement
E-Paper

দলের দ্বন্দ্বে খুন ছেলে, অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর

দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক তৃণমূল কর্মীর নাবালক ছেলেকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার তালড্যাংরায়। রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল বছর আটের ছেলেটি। মঙ্গলবার সকালে মুখে কাপড় গোঁজা ও হাত-পা পিছমোড় করে বাঁধা অবস্থায় জঙ্গলে তার দেহ মেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৮ ০৪:৩৩
রাহুল কুদ্দুস খান

রাহুল কুদ্দুস খান

দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এক তৃণমূল কর্মীর নাবালক ছেলেকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার তালড্যাংরায়। রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল বছর আটের ছেলেটি। মঙ্গলবার সকালে মুখে কাপড় গোঁজা ও হাত-পা পিছমোড় করে বাঁধা অবস্থায় জঙ্গলে তার দেহ মেলে।

তালড্যাংরার ঢ্যামনামারা গ্রামে রাহুল কুদ্দুস খান নামে ওই ছেলেটির বাবা দিল ইসলাম খান ভোটের আগে দলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও ভয়ে এলাকায় ফেরেননি। এ দিন ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওরা আমাকে খুন করতে পারেনি। তাই ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। ওদের ফাঁসি চাই।”

তালড্যাংরার ওই এলাকাটি বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। বছর দুয়েক ধরেই এলাকার বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন বিধায়ক শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে বিবাদ চলছে। বিধায়ক তুষারবাবুর কথায় তা স্পষ্ট। তাঁর অভিযোগ, “ওই এলাকায় দলের দ্বন্দ্ব মেটাতে জেলা সভাপতি উদ্যোগী হননি। আমি চাই, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রক্তপাত এ বার বন্ধ হোক।” যদিও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে শ্যামবাবু বলেন, ‘‘পুলিশি তদন্তেই প্রকৃত দোষী কারা, তা জানা যাবে।” গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ এড়িয়ে দলের জেলা সভাপতি অরূপ খানের বক্তব্য, “তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের সাজা চাই।’’

আরও পড়ুন: মমতা কি পাহাড়ে, ভোটেরও জল্পনা

গত বছর এই এলাকাতেই শ্যামবাবুর এক অনুগামী খুন হন। দিল ইসলাম তুষারবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত। ভোটের আগের দিন তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন, শ্যামবাবুর গোষ্ঠীর লোক বলে পরিচিত তাজিউদ্দিন খান-সহ জনা ছয়েক লোক বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মারধর করে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। তবে ছাড়া পেলেও ফের আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে তিনি এলাকায় যাননি। তাঁর অভিযোগ, “আমাকে না পেয়ে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে এসে স্ত্রীকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল। ছেলেকে কোথাও একা পাঠানো হচ্ছিল না। পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানিয়ে রেখেছিলাম।’’

রবিবার বিকেলে গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ছাদ ঢালাইয়ের জন্য মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছিল। রাহুল সেখানে মিষ্টি খেতে গিয়ে ফেরেনি। সোমবার দিল অপহরণের অভিযোগ করেন। এ দিন সকালে বাড়ির অদূরে জঙ্গল থেকে দুর্গন্ধ মেলায় কিছু বাসিন্দা গিয়ে দেহটি দেখতে পান। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। বাঁকুড়া মেডিক্যালের মর্গে দাঁড়িয়ে দিল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘‘পাড়া থেকেই ছেলেটাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করল শ্যামবাবুর লোকেরা। ওরা এতটা বেপরোয়া হবে, ভাবতে পারিনি!’’ বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা জানান, দিল ইসলাম তাজিউদ্দিন খান-সহ যে ছ’জনের বিরুদ্ধে আগে তাঁকে মারধরের অভিযোগ করেন, তাদের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক।

Death Kidnap Murder Minor TMC Missing Group Clash Ruling Party
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy