মৃত পশুপাখির মাংস নামী হোটেল, রেস্তরাঁ-সহ বিভিন্ন সংস্থাতেও যেত বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় বিশেষ সতর্কতার কথা জানিয়ে ট্রেনযাত্রীদের আশ্বস্ত করল ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)। সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা দেবাশিস চন্দ্র সোমবার জানান, তাঁদের সব ভেন্ডারকে মুরগির হিমায়িত মাংস ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।
“সব ক্ষেত্রেই প্রক্রিয়াকরণ এড়িয়ে টাটকা মাংস ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু মুরগির পা এবং বুকের মাংসই রান্না করতে হবে,’’ বলেন দেবাশিসবাবু। সেই সঙ্গে জানান, খাবার সরবরাহকারীদের কে কোথা থেকে মাংস কেনেন, তা জানাতে বলা হয়েছে। কোথাও কোনও গোলমাল পেলে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
ভেন্ডরদের কে কোথা থেকে মাংস কেনেন, তার সবিস্তার তালিকা তলব করেছে আইআরসিটিসি। প্রয়োজনে সেই সব জায়গায় আচমকা পরিদর্শনে যাবেন সংস্থার আধিকারিকেরা। সেই সঙ্গে ট্রেনে সরবরাহ করা খাবারের গুণমান নিয়মিত পরীক্ষা হবে। সোমবার সংস্থার কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভাগাড়ের মাংস নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে হোটেল-রেস্তরাঁয় মাংসের পদ বিক্রিতে ভাটা চলছে। অনেকেই মাংসের পদ এড়িয়ে চলছেন। ট্রেনে সরবরাহ করা খাবারের মান নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছাড়িয়ে পড়ার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আইআরসিটিসি-র খবর।
ট্রেনে আইআরসিটিসি-র নিজস্ব হেঁশেল ছাড়াও অনুমোদিত সংস্থার খাবার দেওয়া হয়। নিজেদের হেঁশেলে তৈরির খাবারের মান নিয়মিতই যাচাই করা হয় বলে ওই সংস্থার দাবি। অনুমোদিত ভেন্ডারদের সরবরাহ করা খাবার নিয়ে যাতে কোনও সংশয় বা আতঙ্ক তৈরি না-হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে আইআরসিটিসি।