Advertisement
E-Paper

মাথাই নেই, শুধু ধড় পাঁচ মেডিক্যালে

রাজ্যের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে স্বাস্থ্য দফতরে। অথচ সেই পাঁচ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ করা যায়নি।

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ০০:৩২

প্রতিষ্ঠানের প্রধান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ সেই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি নিয়ে হরেক পরিকল্পনা চলছে!

রাজ্যের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে স্বাস্থ্য দফতরে। অথচ সেই পাঁচ মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ করা যায়নি।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট, রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া, ডায়মন্ড হারবার, কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া গত বছর ডিসেম্বরে শুরু হয়। কিন্তু এপ্রিলেও কোনওটিতেই অধ্যক্ষ-পদ পূরণ করা যায়নি। ইতিমধ্যে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া কেন শুরু হচ্ছে না, সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। ওই সব মে়ডিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যে কিছু কিছু চিকিৎসক-শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু অধ্যক্ষ ছাড়া চিকিৎসক-শিক্ষকেরা কী ভাবে নতুন কলেজকে উন্নত করার পরিকল্পনা করবেন, সেই প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা জানান, রাজ্যের ওই পাঁচ মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। ২০১৯ সালের মধ্যেই ভর্তির প্রক্রিয়া চালু করার পরিকল্পনা করছে সরকার। কিন্তু অধ্যক্ষ ছাড়া কী ভাবে সেটা সম্ভব, উঠছে সেই প্রশ্নও। ২০১৯ সাল থেকে ছাত্র ভর্তি এবং এমবিবিএস কোর্স চালু করতে হলে রাজ্য সরকারকে মাসখানেকের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া বা এমসিআই-এর কাছে। কিন্তু প্রায় চার মাস পরেও যেখানে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল না, সেখানে কী ভাবে এমবিবিএস কোর্স পড়ানোর পরিকাঠামো তৈরি হবে, সেই বিষয়েও সংশয় থাকছে।

অধ্যক্ষ কাজ শুরু করলে তবে মেডিক্যাল কলেজের কোন বিভাগে ক’জন চিকিৎসক-শিক্ষক থাকবেন, তাঁরা কী ধরনের কাজ করবেন, কী ধরনের পরিকাঠামো দরকার, তার সুস্পষ্ট রূপরেখা পাওয়া যেতে পারে। ওই পাঁচ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-শিক্ষকেরা আপাতত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সুপারের অধীনে কাজ চালাচ্ছেন। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের কাজ অর্থাৎ চিকিৎসাবিজ্ঞানের পঠনপাঠন সংক্রান্ত কাজের দেখভাল ও উন্নতি নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারেন শুধু অধ্যক্ষ। তাই অধ্যক্ষ নিয়োগ না-হলে বাকি কাজ হবে না বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ। ফলে মেডিক্যাল কলেজ গড়ে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকার যে-উন্নতির পরিকল্পনা করেছে, সেটাও মুখ থুবড়ে পড়বে বলে প্রশাসনের একাংশের আশঙ্কা।

অধ্যক্ষ নিয়োগে এত দেরি কেন? যোগ্য প্রার্থীর অভাব, নাকি প্রশাসনিক গড়িমসির জেরেই ইন্টারভিউয়ের চার মাস পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হল না?

সরাসরি উত্তর না-দিয়ে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য শুধু বলেন, ‘‘নিয়োগ হয়ে যাবে।’’

Medical Colleges Principal Admission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy