প্রতীকী ছবি।
শুধু শহর ও শহরতলিতেই নয়, ভাগাড়ের পচা মাংস ফ্রিজার ভ্যানে করে পাড়ি দিত শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও!
ভাগাড়-কাণ্ডে পরিবহণ ব্যবসায়ী মহম্মদ এখলাককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের তদন্তকারীদের সামনে। তবে পুলিশের কাছে এখলাক দাবি করেছেন, তাঁর গাড়িতে যে পচা মাংস পাচার করা হত, তা তিনি জানতেন না। তদন্তকারীরাও মনে করছেন, ওই পরিবহণ ব্যবসায়ীর থেকে গাড়ি ভাড়া নেওয়া হলেও তাতে কী নিয়ে যাওয়া হত, সে বিষয়ে তিনি পুরো অন্ধকারেই ছিলেন। তাই ভাগাড়ের পচা মাংস-কাণ্ডে এখলাককে অন্যতম সাক্ষী হিসেবে ধরা হবে বলেই জানিয়েছেন এক পুলিশকর্তা।
পুলিশ জেনেছে, শ্যামবাজারের বাসিন্দা এখলাকের থেকে তিন বছর আগে একটি ফ্রিজার ভ্যান ভাড়া নিয়েছিল নারকেলডাঙার হিমঘরের গুদামের মালিক বিশ্বনাথ ঘড়ুই। এর জন্য প্রতি মাসে মোটা টাকা ভাড়াও পেতেন ওই ব্যবসায়ী। কখন কোথায় যেতে হবে, তা বিশ্বনাথই জানিয়ে দিত এখলাককে। সেই মতো নিজের চালককে দিয়ে গাড়িটি পাঠিয়ে দিতেন ওই পরিবহণ ব্যবসায়ী। সেই সূত্রেই এখলাক পুলিশকে জানিয়েছেন, কলকাতা, শহরতলি ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা ছাড়াও মাঝেমধ্যে শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও যেত ফ্রিজার ভ্যানটি। আবার উত্তরবঙ্গের সীমানা পেরিয়ে প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রেও ওই গাড়ি পাড়ি দিয়েছে বলে দাবি এখলাকের।
পুলিশ সূত্রের খবর, এখলাকের কাছে ওই তিন বছরের ‘চালান’ রয়েছে। যা তিনি তদন্তকারীদের দিয়েছেন। ওই চালান দেখে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, কোথায়, কবে, কোন মাংস ব্যবসায়ী বা রেস্তরাঁর কাছে ভাগাড়ের পচা মাংস সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন সময়ে যে সমস্ত চালক ওই গাড়ি চালিয়েছেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। অন্য দিকে, ভাগাড়ের পচা মাংস পাচারের ঘটনায় ধৃত ছ’জনকে শনিবার আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় (বেঙ্গল) আদালতের বিচারক সম্রাট রায়ের এজলাসে তোলা হয়। পুলিশ অবশ্য এ দিন আর ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি। বিচারক ওই ছ’জনকে আগামী ১১ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy