উচ্চ প্রাথমিকে ৯০ শতাংশ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার আবেদন জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশন। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার একটি মামলায় গত ৩০ মে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন, ১০ শতাংশ আসনে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকছে। বাকি আসনে নিয়োগ হতে পারে। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় নির্বাচনী বিধিও চালু হয়েছে। নির্বাচনী নিয়মবিধি অনুযায়ী উন্নয়ন ও নিয়োগ বন্ধ থাকার কথা।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার জানান, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকের শূন্য পদ প্রায় ১৫ হাজার। আদালতের রায়ের পরে ১০ শতাংশ ছেড়ে দিয়ে বাকি পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু নির্বাচনের দিন ঘোষণার ফলে নির্বাচনী বিধি চালু হয়েছে। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিক টেট-এর ফল প্রকাশের পরে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। তার পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলা হওয়ায় গোটা প্রক্রিয়া থমকে যায়। কমিশনের কাছে নিয়োগের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই টেট পাশ যে-সব প্রার্থী আবেদন করেছেন, আগে তাঁদের নথি যাচাই করা হবে। পরে ডাকা হবে পার্সোনালিটি টেস্টে। প্যানেল প্রকাশ, কাউন্সেলিংয়ের পরে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করা হলে স্পেশ্যাল এডুকেটর বা ওই জাতীয় শিক্ষকদের জন্যও সমহারে সংরক্ষিত আসন রাখার দাবিতে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। মামলা করেছেন কয়েক জন স্পেশ্যাল এডুকেটর। তাঁদের আইনজীবী সুবীর সান্যাল এ দিন জানান, একই দাবিতে একাধিক মামলা হয়েছে। তেমনই একটি মামলায় বিচারপতি রাজীব শর্মা বছর দুয়েক আগে নির্দেশ দেন, আদালতের পরবর্তী আদেশের আগে পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে। ওই আইনজীবী জানান, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ৩০ মে বিচারপতি শর্মার নির্দেশ পরিমার্জন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ নিয়ে ফয়সালা পরে হবে। এখনই ওই ১০ শতাংশ আসনে নিয়োগ হবে না। বাকি আসনে নিয়োগ হতে পারে।
সুবীরবাবু জানান, বিচারপতি চক্রবর্তী নির্দেশ পরিমার্জন করলেও অন্য মামলাগুলিতে ১০০ শতাংশ নিয়োগের উপরে স্থগিতাদেশ ওঠার আগে বাকি আসনে নিয়োগ-সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করা সম্ভব না-ও হতে পারে। বিচারপতি চক্রবর্তীর নির্দেশকেও চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হতে পারে বলেও জানান সুবীরবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy