দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটু ধীরেই এগোচ্ছে তৃণমূল।
বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে প্রথম থেকেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। তেমনই দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আর প্রত্যাশার চাপ এড়িয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতেই সময় নিতে চাইছেন শাসকদলের নেতারা। সোমবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্ব শুরু হলেও বেশির ভাগ জেলাতেই তৃণমূল একেবারে দেরিতেই মনোনয়ন জমার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই কারণে শেষ লগ্নে বেশিরভাগ প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, বর্ধমানে জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ খুব একটা না থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে দাবিদার প্রচুর। দাবিদারদের বিক্ষোভ মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভোটের কাজ করতে তাই হাতে কিছুটা সময় নিচ্ছে শাসক দল। মনোনয়ন পেশের শেষ দিন ৯ এপ্রিল, সোমবার। একেবারে শেষ দিকে মনোনয়ন জমা দিলে বিক্ষুব্ধরা অন্য কোনও দলের প্রতীকে বা নির্দল হয়েও শাসক দলের ‘কাঁটা’ হতে পারবে না বলেই মনে করছে শাসক শিবির।
অনেক জেলাতেই তৃণমূল ৬ এপ্রিল থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু করবে বলে দলীয় সূত্রের খবর। তৃণণূল নেত্রী যতই ভোটে দলের প্রার্থীকে মেনে নিতে নির্দেশ দিন না কেন, প্রার্থী হতে না পারার অসন্তোষ যে জেলায় জেলায় এখন সবথেকে বেশি উদ্বেগের, তা স্বীকার করে নিয়েছেন অনেক তৃণমূল জেলা সভাপতিই। উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেছেন, ‘‘প্রার্থী হওয়ার দাবিদারের সংখ্যা অনেক বেশি। ক্ষোভ-বিক্ষোভও অনেক আছে। সবাইকে বোঝানো হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভোট করতে। বিতর্কিত ব্লকগুলির ক্ষোভ মিটিয়ে প্রার্থী করতে একটু সময় তো লাগবেই।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরেও কোন্দল মেটাতে ব্লকে ব্লকে ঘুরতে হচ্ছে জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে। সপ্তাহের শেষ দিকেই সেখানে মনোনয়ন পেশ শুরু হওয়ার কথা। ৬ ও ৭ এপ্রিল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মনোনয়নের দিন স্থির হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই জেলার পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত শুভাশিস চক্রবর্তী।