প্রতীকী ছবি।
বৈশাখের শুরু থেকে রুদ্রমূর্তি ধরেছে গ্রীষ্ম। রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা।
চৈত্রসংক্রান্তিতে চাহিদা ছিল ৫৩০০ মেগাওয়াটের মতো। পয়লা বৈশাখের পরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ৬১০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গিয়েছে।
চাহিদা বাড়ছে কলকাতা, হাওড়া-সহ সিইএসসি এলাকাতেও। রবিবার, নববর্ষে মহানগরে চাহিদা ছিল ১৪৩৪ মেগাওয়াট। সোমবার তা ১৭৮৬ মেগাওয়াটের ঘরে। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানেই চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াট। ঝড়বৃষ্টির দৌলতে চৈত্রের গরম তত জ্বালায়নি। বরং বলা যেতে পারে, মার্চ ঠান্ডা ও হাল্কা গরমে কেটে গিয়েছে। ওই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা দু’-এক দিন হঠাৎ বাড়লেও ১ এপ্রিল থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত বণ্টন এলাকায় চাহিদা গড়ে রোজ কমবেশি ৫৪০০ মেগাওয়াটের ঘরেই ছিল। কিন্তু ১৫ এপ্রিল থেকে গড়ে ৭০০ মেগাওয়াট চাহিদা বেড়ে সূচক ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই আবহাওয়া চলতে থাকলে চাহিদা ৬৫০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ বছর সারা দেশেই গ্রীষ্মের দহন বাড়বে বলে আবহবিদেরা জানিয়ে দিয়েছেন। তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করা হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে বিদ্যুতের প্রবল চাহিদা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের হিসেব, গত বছরের মার্চের তুলনায় এ বছরের মার্চেই সারা দেশে চাহিদা ১২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও গত বছরের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে বলে বিদ্যুৎকর্তাদের ধারণা।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের চাপ রয়েছে। তার উপরে গরম ক্রমশ বাড়তেই থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে আমাদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে যথেষ্ট কয়লার মজুত রয়েছে। চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বল্প মেয়াদে বিদ্যুৎ কেনার ব্যবস্থাও করে রাখা হয়েছে।’’
বসে নেই কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সংস্থাও। কেন্দ্রীয় সংস্থা সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির মধ্যে বক্রেশ্বর ও সাঁওতালডিহিতে আপাতত যথেষ্ট কয়লা মজুত রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy