ইনস্পেক্টরদের কাজ এবং স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন করতে চাইছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা। সূত্রের খবর, ওই মর্মে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা)-র নির্দেশ পুলিশের প্রত্যেক ইউনিট হেডের কাছে পাঠানো হয়েছে গত সপ্তাহে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউনিট হেডদের তাঁদের অধীনে থাকা ইনস্পেক্টরদের সম্পর্কে মূল্যায়ন সম্পূর্ণ করে তা পাঠাতে বলা হয়েছে ভবানীভবনে। উল্লেখ্য, বর্তমানে পুলিশকর্মীদের জন্য বাৎসরিক গোপন রিপোর্ট বা এসিআর চালু আছে। যা শীর্ষকর্তারা নিজেরা কাজের মূল্যায়ন করে দিয়ে থাকেন।
গত সপ্তাহে এডিজি আইন শৃঙ্খলার পাঠানো ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, চলতি মাসের মধ্যে প্রথম রিপোর্ট পাঠানো হলেও পরের বছর থেকে তা পাঠাতে হবে এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে। একই সঙ্গে ইউনিট হেড বা ইনচার্জকে ব্যক্তিগত ভাবে ওই রিপোর্ট বানাতে বলা হয়েছে। পুলিশকর্মীদের একাংশ মনে করছেন, ওই মূল্যায়নের মাধ্যমে ইনস্পেক্টরদের কাজের দক্ষতা যাচাই করতে চাইছে ভবানীভবন। যাতে পরবর্তী সময়ে দক্ষদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেওয়া যায়।
সূত্রের দাবি, ওই নির্দেশিকায় ইনস্পেক্টরদের মূল্যায়নের মানদণ্ড কী হবে তা-ও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। কাজের প্রতি সততা, সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জ্ঞান, অপরাধ দমনে সক্রিয়তা, জনসাধারণকে নিয়ন্ত্রণে কতটা দক্ষ, থানা চালাতে কতটা অভিজ্ঞ এবং তাঁরা শারীরিক ভাবে কতটা সুস্থ ও সক্রিয়, তা মূল্যায়ন করে জানাতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, নির্দেশিকায় ১ থেকে ১০-এর মধ্যে ‘রেটিং’ করতে বলা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশে মোট ইনস্পেক্টর রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। তার মধ্যে একটি বড় অংশ রয়েছেন থানার আইসি পদে। বাকিরা রাজ্য পুলিশের এসটিএফ, সিআইডি, সাইবার উইং থেকে শুরু করে ব্যাটালিয়ন কিংবা অন্যান্য বিভাগে।
পুলিশের বিভিন্ন মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অনেকেও অভিযোগ করে থাকেন, রাজনৈতিক দাক্ষিণ্য না থাকলে থানার আইসি পদে পোস্টিং পাওয়া যায় না। এমনকি, কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অনুমতি ছাড়া বদলিও করা যায় না থানার ওসি থেকে আইসিদের, রয়েছে অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে পুলিশের শীর্ষকর্তারা বাহিনীর ইনস্পেক্টরদের কাজ এবং স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন করলেও আগামী দিনে তা কতটা কাজে লাগবে, তা নিয়েই অবশ্য প্রশ্ন থেেক যাচ্ছে বাহিনীর একাংশের মধ্যে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)