Advertisement
E-Paper

ভিন্‌দেশিদের জন্য সুন্দরবনের মেছো হাতছানি

ম্যানগ্রোভের জঙ্গল-নদী-বন্যপ্রাণ তো আছেই, আর আছে মাছ। পশ্চিমবঙ্গে আসা বাইরের বহু পর্যটকেরই লক্ষ্য থাকে, মাছের হরেক পদ চেখে দেখা। বছর কয়েক আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা শোয়েব আখতার যেমন সুন্দরবনে গিয়ে পারশে মাছের ঝাল খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এ বার সেই সুন্দরবনেই মাছকে কেন্দ্র করে পর্যটনের নতুন সরকারি উদ্যোগ।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৮

ম্যানগ্রোভের জঙ্গল-নদী-বন্যপ্রাণ তো আছেই, আর আছে মাছ। পশ্চিমবঙ্গে আসা বাইরের বহু পর্যটকেরই লক্ষ্য থাকে, মাছের হরেক পদ চেখে দেখা। বছর কয়েক আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা শোয়েব আখতার যেমন সুন্দরবনে গিয়ে পারশে মাছের ঝাল খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন। এ বার সেই সুন্দরবনেই মাছকে কেন্দ্র করে পর্যটনের নতুন সরকারি উদ্যোগ।

শুধু মাছ খাওয়া নয়। নিজে মাছ ধরা, জেলেদের মাছ ধরা দেখা, মাছচাষিদের সঙ্গে নৌকোয় বেড়ানো, মন চাইলে তাঁদের গ্রামে গিয়ে গল্পগুজব করা এবং নদীর পাড়ে ভেড়ানো হাউসবোটে থাকা-খাওয়া— এই গোটা প্যাকেজ নিয়েই মৎস্য পর্যটন। মৎস্য দফতর ও সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের যৌথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ। এর থেকে যা আয় হবে, তা সুন্দরবনের জেলে এবং মাছচাষিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কাজে খরচ করা হবে। মৎস্য দফতর সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের সঙ্গে সুন্দরবনের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকেও জুড়ে নেওয়া হবে। সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘পর্যটন ও বন দফতরও এই প্রকল্পে সঙ্গে থাকবে। পর্যটকদের জন্য পর্যটন দফতর বিলাসবহুল হাউসবোটের ব্যবস্থা করবে।’’ দেশে-বিদেশে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের অনেকেরই মনে আছে, ইওরোপে ইতালি এই ধরনের মৎস্য পর্যটন শুরু করেছিল। এ বারে এ রাজ্যেও তার তোড়জোড় শুরু হল। খসড়া প্রকল্প তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি আলোচনা শুরু করেছে।

পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম আবার ইতিমধ্যেই ‘গো ফিশিং’ নামে একটি অন্য প্রকল্পের কথাও জানিয়েছে। যেখানে কলকাতা থেকে নামখানায় একবেলার জন্য গিয়ে পর্যটকেরা মাছ ধরতে, মাছ ধরা দেখতে ও মৎস্যজীবীদের সাংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। পূর্ণাঙ্গ প্রকল্পটি চালু হলে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কথায়, ‘‘সুন্দরবনের নদী, খাল, ম্যানগ্রোভের জঙ্গল, কুমির, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে ওখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছের লোভনীয় পদ চাখার সুযোগ চিরকালই পর্যটকদের মন কেড়েছে। আর এই মৎস্য পর্যটনকে বাস্তবায়িত করলে প্রচুর সংখ্যক বিদেশি পর্যটক আসবেন।’’ কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ১৫ লক্ষের কাছাকাছি বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন। পর্যটন সংস্থাগুলির দাবি, এঁদের একটা বড় অংশই সুন্দরবনে গিয়েছেন। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর সুন্দরবনের প্রতি বিদেশিদের আকর্ষণ বেড়েছে।

Sundarbans West Bengal Tourism
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy