নিখিল সেন। —নিজস্ব চিত্র।
কল্যাণী আদালতের বাইরে তখন তিনি পুলিশি প্রহরার মাঝে বসে রয়েছেন। প্রায় ভাবলেশহীন। নিজের হাতে স্ত্রীকে খুন করার পরেও তাঁর চোখেমুখে তার বিন্দুমাত্র ছায়া ছিল না। না কোনও আক্ষেপ, না কোনও ভয়। সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরে সত্যিটা জানতে চাইতেই মুখ খুললেন মৌমিতার স্বামী নিখিল। সটান উত্তর, ‘‘ওয়েট করুন। সব জানতে পারবেন।’’ যাঁর কথা শুনে চমকে যান উপস্থিত সাংবাদিকেরাও।
টাকা চাইতেন মৌমিতা?
হ্যাঁ।
আপনি দিতেন?
হ্যাঁ।
কত টাকা দিতেন?
২০০, ৫০০ বা ১০০০ টাকা।
আপনাদের বিয়েতে বাড়ির মত ছিল?
আমার বাড়ির মত ছিল।
আপনাদের বিচ্ছেদ হল কেন?
সেটা ওঁর বাবাকে জিজ্ঞাসা করুন।
আরও পড়ুন: ঝামেলা হয়েছিল, তার পরেই গুলি চালিয়ে দিই, স্বীকারোক্তি মৌমিতার স্বামীর
আবার জানতে চাওয়া হয় তাঁদের বিচ্ছেদ হল কেন?
ওঁর বাবা মৌমিতার মগজধোলাই করেছিলেন।
মেয়ে হিসাবে মৌমিতা কেমন ছিলেন?
প্রথমে তো ভালই মনে হয়েছিল। পরে জানতে পারি অনেকের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল।
সেটা আপনি আগে থেকে জানতেন?
না। বুঝতে পারিনি। বিয়ের পর জানতে পারলাম।
কাদের সঙ্গে মিশতেন মৌমিতা? কোথায় কোথায় যেতেন?
(এক-দু’জনের নামও বলেন)। তারপর চুপ করে যান।
ওই দিন কী হয়েছিল?
চুপ করে থাকেন নিখিল।
মৌমিতাকে খুনের পিছনে সত্যিটা কী?
ওয়েট করুন। সব জানতে পারবেন। এত তাড়াতাড়ি জেনে গেলে তো হয়েই গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy