Advertisement
E-Paper

বাঘাযতীনের হেলে পড়া ফ্ল‍্যাটবাড়ির সামনে হাজির তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর, কী তাঁদের বক্তব্য, দাবি কী?

ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর। এক জন কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য জন ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবব্রত মজুমদার।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৯
(বাঁ দিকে) দেবব্রত মজুমদার এবং মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) দেবব্রত মজুমদার এবং মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

এলাকায় একটি চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ার খবর পেয়ে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে পৌঁছন তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর। এক জন কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য জন ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। দু’জনেই পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য।

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ‘শুভ অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের ওই ফ্ল্যাটবাড়িতে আগেই ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেই সময় পুর কর্তৃপক্ষের তরফে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, তার পরে আবার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে বসবাস করতে থাকেন অনেকে। স্থানীয়দের দাবি, ফ্ল্যাটটি নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। ওই অঞ্চলে তিনতলা ফ্ল্যাট বানানোর অনুমতি দেয় পুরসভা। অভিযোগ, সেই নিয়ম ভেঙে চারতলা ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছিল।

ঘটনাটি যে এলাকার, সেটি ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড, অর্থাৎ মিতালির এলাকায়। তিনি বলেন, “আমি এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। আমি এই এলাকায় চারতলা ফ্ল্যাট তৈরির অনুমতি দিই না। তিনতলা পর্যন্ত ফ্ল্যাট করা যায়। কিন্তু তিনতলা করলেও অনুমতি নিতে হয়।” ফ্ল্যাটবাড়িটি নিয়ম মেনে তৈরি হয়েছিল কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সেটা পুরসভার খাতায় দেখতে হবে।” হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ির ভবিষ্যৎ নিয়ে মিতালি বলেন, “ওটি পুরো ভেঙে দেওয়া হবে। আমরা চাইব প্রোমোটারকে পুলিশ অবিলম্বে গ্রেফতার করুক।”

অন্য দিকে, ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা স্থানীয় বিধায়ক দেবব্রত বলেন, “বাড়িটি ১০-১২ বছরের পুরনো। বাড়িটি হেলে গিয়েছিল। ফ্ল্যাটবাড়ির কর্তৃপক্ষ হরিয়ানার এক সংস্থার সাহায্য নিয়ে বাড়িটি ‘লিফ্‌ট’ করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতি নেওয়া হয়নি। অনুমতি ছাড়াই কী ভাবে এই কাজ হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা উচিত। আমরা পুলিশকে বলেছি তা দেখতে।” ফ্ল্যাটবাড়ি তৈরির জন্য পুরসভার কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে দেবব্রত বলেন, “১০-১২ বছর আগের ঘটনা। তবে আমার ধারণা অনুমতি নেওয়া হয়নি।” বিধায়ক জানান, দীর্ঘ দিন আগে ওই এলাকায় জলা ছিল। সেই জলাভূমি বুজিয়েই ফ্ল্যাট তৈরি হয়।

স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালিও দেবব্রতের সুরে জানান, হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি যন্ত্রের মাধ্যমে লিফ্‌ট (সরানো) করার অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফ্ল্যাটবাড়িটি এক দিকে হেলে যাওয়ায় গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেন প্রোমোটার। সেই কারণে কোনও বাসিন্দাই আপাতত সেখানে থাকছিলেন না। ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে যাওয়ার খবর শুনে দৌড়ে আসেন অনেকে। শিউলি বক্সী নামের ফ্ল্যাটবাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, “ফ্ল্যাট লিফ্‌টিংয়ের কাজ শুরু হওয়ার পরে আমরা পাশেই ভাড়াবাড়িতে ছিলাম। এক প্রতিবেশী ফোন করে বললেন, তোমাদের ফ্ল্যাট থেকে আওয়াজ হচ্ছে। ছুটে গিয়ে দেখি পুরো হেলে গিয়েছে।”

Baghajatin KMC TMC Councilor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy