ফাইল চিত্র।
তিন বছর আগে সপ্তম বেতন কমিশন পাওয়ার সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা যে হারে (১২৫%) মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ পেতেন, জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীরাও সেই হারে ডিএ পাবেন। কর্মীমহলে এখন তাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হবে কবে? কেউ কেউ মনে করছেন, লোকসভা ভোটের আগেই হয়তো দরাজ হবে নবান্ন। কারও কারও আবার আশঙ্কা, ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার পরে বেতনকাঠামো সংস্কারের অর্থ আর রাজ্যের কোষাগারে থাকবে না।
এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, বিকাশ ভবনে অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কাজে তেমন গতি নেই। বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়নের প্রায় ৯০০টি দাবিপত্রের শুনানির পরে এখন দফতরগুলির বক্তব্য শোনা হচ্ছে। কমিশন সূত্রের খবর, প্রতি সপ্তাহে একটি করে দফতর তাদের বক্তব্য জানাচ্ছে। ৫১টি দফতরের অর্ধেকের বক্তব্য এ পর্যন্ত শোনা হয়েছে। এর পর পুলিশ, কারা, দমকলের মতো কর্মী ইউনিয়ন না-থাকা দফতরগুলির প্রায় ৪০০ কর্মীর ব্যক্তিগত আর্জির শুনানি হবে।
কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘নবান্নের কোনও নির্দেশ নেই। ফলে শুনানি চলছে শম্বুক গতিতেই। যদি নির্দেশ আসে তা হলে শুনানি শেষ করে প্রথম দফার রিপোর্ট দেওয়ার আগে দু’সপ্তাহ সময় পেলেই হবে।’’ তবে নবান্নের অর্থ কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমিশন তার নিজর মতো কাজ করছে। স্বশাসিত ওই সংস্থার কাজের উপর সরকারের কোনও খবরদারি চলে না। তবে সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি যে এখনই বেতন কমিশনের ধাক্কা সামলানোর মতো নয়, তা জানাচ্ছেন কর্তারা। সিএজি তাদের গত অক্টোবরের আয়-ব্যয়ের হিসাবে দেখিয়েছে, নবান্নের এখন রাজস্ব ঘাটতি ৪২১২ কোটি টাকা। আর অক্টোবরের শেষে রাজকোষ ঘাটতি ৯০৩২ কোটি। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, ‘‘আর্থিক দিক দিয়ে দেখলে পরিস্থিতি অনুকূল নয়। কিন্তু বেতন কমিশন দেওয়া তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy