কেউ দাবি তুলছেন, সাধারণ সম্পাদককে এখনই সাংসদ-পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে! কেউ বলছেন, প্রবীণদের জন্য অবসর বাধ্যতামূলক করতে হবে। কেউ প্রশ্ন তুলছেন, এত কম টাকা ভাতা নিয়ে সর্ব ক্ষণের কর্মীরা কাজ করবেন কেন? কেউ তোপ দাগছেন, নেতারা অসহিষ্ণু এবং অ-সংবেদনশীল! কারও অভিযোগ, উপরের তলার নেতাদের ব়়ড্ড বেশি খবরদারিতে গণসংগঠন বা অন্য যে কোনও স্তরে স্বাধীন সত্তা বিকশিত হচ্ছে না!
এ সবই হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতাদের নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে! যাঁর যা অভিযোগ, যাঁর যা ‘মন কি বাত’, মঞ্চে উঠে মাইকের সামনে বলে আসছেন। শুধু নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করে গেলে সভাপতিমণ্ডলী ঘণ্টা বাজিয়ে বক্তৃতা বন্ধ করে দেবে। যেমন বিধানসভা বা সংসদে হয়। খোলাখুলি তাই অভিযোগের ডালা মেলে ধরেছেন সিপিএমের প্লেনামের প্রতিনিধিরা। তবে তাঁদের সকলেরই প্রায় এক সুর— দলে গণতন্ত্র নেই! গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতারই রমরমা!
সমালোচনা শুনতে শুনতেই বিস্মিতও হচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এত গাল খেয়েও কি না দলের ভিতরে-বাইরে শুনতে হবে, সিপিএমে গণতন্ত্র নেই! স্মিত হাস্যে ইয়েচুরি বলছেন, ‘‘এটাই আমাদের দলের বৈশিষ্ট্য। সকলেই খোলা মনে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত হয়, সিদ্ধান্তের আবার পর্যালোচনা হয়। আর কোন দলে এ জিনিস আছে?’’