Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Carbon Emission

Carbon Emissions: ‘কার্বন নিয়ন্ত্রণের আর্থিক বোঝা অন্যের ঘাড়ে কেন’

কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল মেলিন্ডা পাভেক জানান, জলবায়ু বদলের জেরে বিপন্ন সুন্দরবনের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন তাঁরা।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২২ ০৭:৩১
Share: Save:

বিশ্বের উন্নত দেশগুলি কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটছে। আর তার জন্য আর্থিক বোঝা চাপছে উন্নয়নশীল দেশগুলির কাঁধে। বৃহস্পতিবার বণিকসভা ‘বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর একটি অনুষ্ঠানে এ কথাই জানালেন ভারতে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওয়াল মোহামেদ আওয়াদ হামেদ। তাঁর বক্তব্য, জলবায়ু বদলের সঙ্গে যুঝতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ খুবই উপযোগী। কিন্তু এটাও বোঝা দরকার, দারিদ্রের সঙ্গে লড়তে থাকা দেশগুলির কাছে কার্বন নিঃসরণ ঠেকানোর আর্থিক বোঝাও বড় সমস্যা। উন্নত দেশগুলি কোনও বিকল্প রাস্তা না-দেখিয়ে কেন এই বোঝা উন্নয়নশীল দুনিয়ার ঘাড়ে চাপাচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আসন্ন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কনফারেন্স অব পার্টিজ় বা কপ-২৭) হবে মিশরে। তার আগে আয়োজক দেশের কূটনীতিবিদের এমন বক্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে জল্পনা চলছে, আসন্ন সম্মেলনে কি তবে উন্নয়নশীল দেশগুলি জোটবদ্ধ হয়ে নতুন কোনও দিশা দেখাবে? মিশরের দূত জানান, ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত দেশগুলি জলবায়ু বদলের লড়াইয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু মাত্র সাতটি দেশ নিজেদের প্রতিশ্রুতি রেখেছে।

এ দিনের অনুষ্ঠানে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন দেশের বিশেষজ্ঞেরাও। বিভিন্ন দেশের দূতেরা জানান, তাঁদের দেশ জলবায়ু বদলের লড়াইয়ে ভারতের পাশে আছে। কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল মেলিন্ডা পাভেক জানান, জলবায়ু বদলের জেরে বিপন্ন সুন্দরবনের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন তাঁরা। এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও এই কাজে তাঁদের জোটসঙ্গী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE