Advertisement
E-Paper

শুভেন্দুর পরামর্শ নিয়ে চলব: সৌমিত্র

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরে পূর্বসূরি শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় প্রথমবার এসে তাঁর পরামর্শ নিয়েই এগোনোর কথা জানালেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খা।ঁ মেনে নিলেন, শুভেন্দুর মতো নেতাদের লড়াই দেখে তাঁরা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। আগামী ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের সমাবেশ। রবিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের খঞ্চি হাইস্কুলের সভাঘরে তারই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল যুব তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪ ০৩:৪২
নন্দকুমারের সভায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।—নিজস্ব চিত্র।

নন্দকুমারের সভায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।—নিজস্ব চিত্র।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পরে পূর্বসূরি শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় প্রথমবার এসে তাঁর পরামর্শ নিয়েই এগোনোর কথা জানালেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খা।ঁ মেনে নিলেন, শুভেন্দুর মতো নেতাদের লড়াই দেখে তাঁরা অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

আগামী ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের সমাবেশ। রবিবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের খঞ্চি হাইস্কুলের সভাঘরে তারই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছিল যুব তৃণমূল। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র সেই সভায় বলেন, “আমাদের লিডার শুভেন্দুদা যখন যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন, তখন আমরা যারা জুনিয়র, তাদের খুব ভাল লাগত। রাজনৈতিক পরিবারের লোক হিসেবে, বাঁকুড়ার যুবক হিসেবে নন্দীগ্রামের ঐতিহাসিক লড়াইও দেখেছি।” সেই লড়াই থেকে তাঁরা অনেক কিছু শিখেছেন জানিয়ে সৌমিত্র বলেন, “আমাদের দলনেত্রী শিলিগুড়ি থেকে মেদিনীপুর, নন্দীগ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় যে লড়াই করেছিলেন তাঁর সাথী ছিলেন শুভেন্দুদা, শিশিরবাবুর মতো নেতারা। পূর্ব মেদিনীপুরে শিশিরবাবু, শুভেন্দুদা, অখিলবাবুর (বিধায়ক অখিল গিরি) মতো সিনিয়র লিডারদের পরামর্শ নিয়ে চললে আমরা সফল হবই।”

কাল, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে জেলায় এসে সৌমিত্রর মুখে শুভেন্দুর এই প্রশংসা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। বিশেষ করে যেখানে, যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে শুভেন্দুকে সরিয়ে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌমিত্রকে। আবার পূর্ব মেদিনীপুরে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা শিশির অধিকারীর ক্ষমতার রাশ টানতে জেলা কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অখিল গিরিকে।

সম্প্রতি ২১ জুলাইয়ের এক প্রস্তুতি সভায় শিশির-অনুগামীরা তাঁর বক্তব্যে বাধা দিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে অখিলবাবু ও তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েক জন বিধায়ক সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। হলদিয়ার বিধায়ক শিউলি সাহাকে হেনস্থার অভিযোগও ওঠে। দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের আঁচ যে কোনও ভাবেই যুব সংগঠনে পড়েনি, এ দিন বারবার সেই বার্তা দিয়েছেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে শৃঙ্খলা আছে বলেই ন’লক্ষ মানুষ জড়ো হলেও দিদি যা বলেন, তা সবাই মেনে চলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সব প্রবীণ নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমরা তাঁদের কাছে রাজনৈতিক দিশা পেতে সাহায্য নেব। আমার কাজে অসুবিধা হলে শুভেন্দুদা, মুকুলবাবু (মুকুল রায়), বক্সীদার (সুব্রত বক্সী) কাছে যাই।”

এ দিনের সভায় অবশ্য শুভেন্দু ছিলেন না। তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় ছিলাম। তাই সভায় থাকতে পারিনি।” তমলুকের সাংসদের অনুপস্থিতিতেও অবশ্য যুব তৃণমূলের জেলা নেতারা শুভেন্দুর পরামর্শ মেনেই পথ চলবেন বলে জানিয়ে দেন। সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, জেলা কার্যকরী সভাপতি আবু তাহের, আনিসুর রহমানের মতো নেতাদের সেই বক্তব্য শুনে করতালিতে ফেটে পড়ে সভাঘর। সভার পরে সৌমিত্র বলেন, “প্রথমবার শুভেন্দুদার জেলায় এসে খুব ভাল সাড়া পেয়েছি।”

tmc youth congress subhendu adhikary soumitra khan nandakumar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy