সাবধানী সৌরভ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক থেকে মেয়েকে আড়াল করেছেন আগেই। এ বার নিজেও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বিল যে হেতু পড়ে দেখেননি, তাই এ নিয়ে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা উচিত হবে না তাঁর। তবে নিজের মতামত না জানালেও, সকলকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন সৌরভ।
ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা চলাকালীন সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তা নিয়ে মতামত চাইলে সৌরভ বলেন, ‘‘আমি একটাই কথা বলব, শান্তি বজায় রাখুন। বিলটা পড়ে দেখিনি আমি। তাই এ নিয়ে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করতে যাব না। না বুঝে কোনও মন্তব্য করা উচিত নয় বলেই মনে করি। তাই শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে বলা ছাড়া আর কিছু বলার নেই। আর সমস্যা যদি থেকেও থাকে, তা হলে তা নিয়ে আওয়াজ তোলার মানুষ রয়েছেন। আমি চাই সবাই ভাল থাকুন।’’
এর আগে, গত সপ্তাহেই সৌরভের কন্যা সানার একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট সোশ্যল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছিল। ইনস্টাগ্রাম স্টোরি হিসেবে পোস্ট করতে গিয়ে ২০০৩ সালে প্রকাশিত খুশবন্ত সিংহের ‘দ্য এন্ড অব ইন্ডিয়া’কে বেছে নেন সানা। বইয়ের যে অংশ তুলে ধরেন সানা, তার পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকার, বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারকে কটাক্ষে ঠাসা ছিল। তাতে লেখা হয়, ‘‘আজ আমরা যারা নিজেদের নিরাপদ মনে করছি, ভাবছি আমরা তো মুসলমান বা খ্রিস্টান নই, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছি। সঙ্ঘ ইতিমধ্যেই বামপন্থী ইতিহাসবিদ এবং পশ্চিমি সংস্কৃতিভাবাপন্ন যুবসমাজকে টার্গেট করেছে। কাল তাদের ঘৃণা গিয়ে পড়বে স্কার্ট পরিহিত মহিলা, যাঁরা মাংস খান, মদ্যপান করেন, বিদেশি সিনেমা দেখেন, বছর বছর তীর্থে যান না, দাঁতনের পরিবর্তে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন, আয়ুর্বেদিকের বদলে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ পছন্দ করেন, দেখা হলে ‘জয় শ্রী রাম’ বলার বদলে হাত মেলান বা চুম্বন করেন, তাঁদের উপর। কেউ নিরাপদ নয়। ভারতকে বাঁচাতে হলে এগুলি আমাদের ভীষণ ভাবে অনুধাবন করতে হবে।’’
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছে, সেই তথ্য সম্বলিত ভারতের একটি মানচিত্রও পোস্ট করেন সানা। অষ্টাদশী সানা বিজেপিকে নিশানা করেই ওই পোস্ট করেছেন বলে তাই জল্পনা শুরু হয়। তার জেরে পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি মাঠে নামতে হয় সৌরভকে। তিনি জানান, ‘‘রাজনীতি বোঝার মতো বয়স হয়নি সানার। তাঁকে এ সবের মধ্যে না জড়নোই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy